তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা-তেজপাতা খাওয়ার নিয়ম
তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা-তেজপাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি তেজপাতার এমন অনেক উপকারিতা সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন যা আগে কখনো আপনি জানতেন না।
এটি পুরোটা পড়লে আপনি তেজপাতার পুষ্টিগুণ, বিভিন্ন কাজে এর ব্যবহার,উপযোগিতা,সংরক্ষণ পদ্ধতি,এটি ব্যবহারের অপকারিতা ও সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।পেজ সূচিপত্রঃ তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা-তেজপাতা খাওয়ার নিয়ম
- তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- তেজপাতা খাওয়ার নিয়ম
- রান্নায় তেজপাতার সঠিক পরিমাণ
- তেজপাতার তেল তৈরির সঠিক নিয়ম
- রান্নায় তেজপাতার ব্যবহার
- স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তেজপাতার উপকারিতা
- ঘরোয়া ব্যবহারে তেজপাতার উপকারিতা
- তেজপাতার গাছ লাগানোর নিয়ম ও সংরক্ষণ পদ্ধতি
- তেজপাতার অন্যান্য ব্যবহার
- তেজপাতার অপকারিতা ও সতর্কতা
- লেখকের শেষ মন্তব্যঃ তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা-তেজপাতা খাওয়ার নিয়ম
তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এবার জানাবো। তেজ শব্দের অর্থ শক্তি বা বল,অপরদিকে এটি দীপ্তি বা উজ্জ্বলতা বোঝাতেও ব্যবহৃত হয়। সামগ্রিক অর্থে কোন কিছুর ভেতরের শক্তি বা উজ্জ্বলতা বুঝাতে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এই তেজপাতা নামটি শুনে আমরা কিছুটা অনুধাবন করতে পারি যে এটি খেলে বা ব্যবহার করলে শরীরের শক্তি ও উজ্জ্বলতা বাড়ে। আবার, এর বেশি ব্যবহারে ক্ষতি বা অপকারিতা হতে পারে। তাই তেজপাতার সঠিক ব্যবহার করা উচিত।
তেজপাতার উপকারিতাগুলো নিচে দেয়া হলো-
- নিয়মিত তেজপাতা খেলে কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- তেজপাতা নির্যাস কিডনি ও মন্ত্রনালির পাথর দূর করে।
- নিয়মিত তেজপাতা খেলে হার্ট ভালো থাকে।
- তেজপাতা কোলন ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
- তেজপাতা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- তেজপাতার ঘ্রাণ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
- তেজপাতার চা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
- এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে।
- শরীরের লাবণ্য বৃদ্ধি করে।
- চর্মরোগ দূর করে।
- এলার্জির সমস্যা ভালো হয়।
- শরীরের দুর্গন্ধ দূর করে।
- অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়া কমায়।
- মুখের অরুচি দূর করে।
- চোখের পিচুটি দমনে বেশ কার্যকর।
- চুলের সমস্যা দূর করে এবং চুলকে উকুন মুক্ত রাখে
- এছাড়াও কাশি ব্রঙ্কাইটিস হাঁপানি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মত শ্বাস যন্ত্রের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে এই তেজপাতা।
তেজপাতা খাওয়ার নিয়ম
রান্নায় তেজপাতার সঠিক পরিমাণতেজপাতা খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন। তেজপাতা মশলা হিসেবে তরকারিতে দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়। গোশত, মাছ ,পায়েস রান্নায় এটি ব্যবহার করা হয়। তেজপাতার তেল, তেজপাতার গুঁড়া,তেজপাতার পেস্ট বানিয়ে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
চা অথবা কফি তৈরির সময় একটি তেজপাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এভাবে সুন্দর ফ্লেভারের চা বা কফি তৈরি হবে এবং এটি খেলে ঠান্ডা লাগা ভাব দূর হবে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য তেজপাতার খুব উপকারী। তেজপাতার চাওয়া দিনে একবার পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। রাতে শোয়ার আগে তেজপাতার চা পান করলে অনিদ্রা দূর হয় এবং ভালো ঘুম হয়। ফলে মানসিক চাপ দূর হয়ে যায়।
মাছের তরকারিতে ১টি তেজপাতা দিলে মাছের আঁশটে গন্ধ দূর হয় এবং স্বাদ বাড়ে। মাংশ রান্নার সময় তেজপাতা দিলে তরকারির স্বাদ ও ঘ্রাণ দুটোই বহুগুণে বেড়ে যায়। তেজপাতার গুড়া ও মধু একসাথে মিশিয়ে খেলে দীর্ঘদিনের কাশি এবং কফ দূর হয় দিনে দুইবার খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।তেজপাতা পিষে কপালে লাগালে মাথা ব্যথা দূর হয় এবং মাথা ঠান্ডা থাকে। এটি প্রাচীনকাল থেকে মাথাব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে প্রচলিত আছে।
রান্নায় তেজপাতার সঠিক পরিমাণ না জেনে ব্যবহার করলে তরকারির স্বাদ ভালো না হয়ে তিক্ত স্বাদ যুক্ত হলে সেটি খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়তে পারে। আবার বেশি মাত্রায় এটি ব্যবহারে পেটের অসুখ হতে পারে। তাই রান্নায় তেজপাতার সঠিক পরিমাণ হলো প্রতি কেজি খাবারে সর্বোচ্চ ৩টি থেকে ৪টি তেজপাতা ব্যবহার করা। এভাবে সঠিক পরিমাণে তেজপাতা ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
তেজপাতার তেল তৈরির সঠিক নিয়ম
তেজপাতার তেল তৈরির সঠিক নিয়ম জেনে নিন। প্রথমে একটি ফ্রাইপ্যানে অল্প পরিমাণে সরিষার তেল নিয়ে তাতে ১-২টি তেজপাতা দিয়ে অল্প আঁচে গরম করুন। এভাবে সরিষার তেলে তেজপাতা ভেজে নিলে খুব সুন্দর সুঘ্রাণ যুক্ত তেল হয়। এই তেজপাতার তেল বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করলে অসাধারণ ঘ্রাণ পাবেন এবং এটি শরীরের জন্য খুব উপকারি।
রান্নায় তেজপাতার ব্যবহার
রান্নায় তেজপাতার ব্যবহার বহু আগে থেকেই করা হয়। বিরিয়ানি ও পোলাও রান্নার সময় সুগন্ধ বাড়ানোর জন্য তেজপাতা ব্যবহার করা হয়। প্রথমে তেল দিয়ে তাতে তেজপাতা দিয়ে হালকা ভেজে নিন। এরপর পোলাও চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ভেজে নিন, এভাবে রান্না করলে সুঘ্রাণ পাওয়া যায়।
গরুর গোস্ত বা খাসের গোশত রান্না করার সময় দুই থেকে তিনটি তেজপাতা দিয়ে রান্না
করলে মাংসের যে কোন রকমের দুর্গন্ধ চলে যাবে এবং তরকারি রান্না অনেক সুস্বাদু
হবে।
গরুর দুধ ফোটানোর সময় ১টি তেজপাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিলে দুধের সুঘ্রাণ হয় এবং গরমের দিনে দীর্ঘক্ষণ গরুর দুধ ভালো থাকে,নষ্ট হয়ে যায় না।
মাছ রান্নার সময় আঁশটে গন্ধ দূর করার জন্য তরকারিতে তেজপাতা ব্যবহার করা
হয়। দরকারের স্বাদ এবং সুগন্ধ বাড়াতে তেজপাতা ব্যবহার করা হয় বিশেষ করে
আলু বেগুনের তরকারিতে তেজপাতা ব্যবহার করলে অসাধারণ স্বাদ হয় এবং সুন্দর সুঘ্রাণ
পাওয়া যায়।
যেকোনো ধরনের ডাল রান্না করার সময় একটি তেজপাতা দিলে ঐ ডাল খেলে পেটে গ্যাসের
সমস্যা কমে যায় এবং এতে হজম শক্তিও বৃদ্ধি পায়।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তেজপাতার উপকারিতা
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তেজপাতার উপকারিতা অনেক। এই উপকারিতা গুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায়ঃ খাবার খাওয়ার পর একটি তেজপাতা চিবিয়ে খেলে এতে পেটের সমস্যা দূর হয় এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এভাবে কয়েকদিন নিয়মিত খেলে হজম ভালো হবে এবং শরীর ভালো থাকবে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিঃ ডায়াবেটিসের রোগী তেজপাতার গুঁড়া দিনে দুইবার অল্প অল্প করে পানির সাথে গুলিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এটি খাওয়া ভালো।
- জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়ঃ জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় হল, একটি তেজপাতা,অল্প পরিমাণে আদা এবং অল্প তুলসী পাতা একসাথে ফুটিয়ে সে পানি পান করতে হবে। এতে জ্বর কমবে এবং শরীরের ব্যথা দূর হবে। এই পদ্ধতিটি প্রাথমিক কাল থেকেই খুবই কার্যকর। আমি নিজেও এভাবে পান করে উপকৃত হয়েছি। আমি এভাবে চা তৈরি করে পান করি এবং জ্বর ও গলা ব্যথা থেকে আরাম পাই।
- দীর্ঘদিনের কাশি এবং কফ নাশকারক প্রাকৃতিক চিকিৎসাঃ দীর্ঘদিনের কাশি এবং কফ নাশকারক প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে তেজপাতার চা বেশ কার্যকর। বেশি লিকার যুক্ত চা পান করার চেয়ে আমি তেজপাতা,তুলসীপাতা ও আদার চা বেশি পছন্দ করি। এতে ঘুম ভালো হয়। এতে আমি কোন সাইড ইফেক্ট পাইনি। তাই আপনিও এভাবে চা পান করে উপকার পেতে পারেন বলে আমার বিশ্বাস।
- মাথাব্যথা দূর করার উপায়ঃ মাথা ব্যাথা দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে তেজপাতা পিষে কপালে লাগানো হয়। এভাবে কিছুক্ষণ রাখা হলে মাথা ব্যথা দূর হয় এবং মাথা ঠান্ডা থাকে এই পদ্ধতিটি পুরাতন আমল থেকে মাথাব্যথা দূর করার উপায় হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিঃ তেজ পাতার চা (চিনি ছাড়া) নিয়মিত পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই দিনে একবার হলেও ডায়াবেটিস রোগীদের এই চা পান করা উচিত। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী।
- অনিদ্রা দূর করার উপায়ঃঅনিদ্রা দূর করার উপায় হলো নিয়মিত রাতে তেজপাতার চা পান করা। এভাবে কিছুদিন এইটা পান করলে অনিদ্রা দূর হবে ইনশাআল্লাহ।
- কোলেস্টেরল কমানোর পদ্ধতিঃ কোলেস্টেরল কমানোর পদ্ধতি হলো নিয়মিত তেজপাতার গুঁড়া খাওয়া। পানিতে তেজপাতার গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে শরীরে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। এভাবে নিয়মিত এটি গ্রহণের ফলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে এবং রক্তের চর্বি পরিমাণ কমে যায়। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ঘরোয়া ব্যবহারে তেজপাতার উপকারিতা
ঘরোয়া ব্যবহারে তেজপাতার উপকারিতা নিয়ে এবার আলোচনা করব।
পোশাকের পোকা দূর করার উপায়ঃ পোশাকের পোকা দূর করতে হলে কাপড় রাখা আলমারিতে তেজপাতা রাখতে হবে। তেজপাতার সুগন্ধে ওই পোশাকে পোকা আক্রমণ করবে না এবং কাপড় সুগন্ধযুক্ত থাকবে। প্রাচীনকাল থেকেই এই পদ্ধতিটি খুবই কার্যকর এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতি হওয়ায় প্রায় সবাই এটি ফলো করে।
প্রাকৃতিক উপায়ে রান্না ঘরে পোকামাকড় দূর করার উপায়ঃ প্রাকৃতিক উপায়ে রান্না ঘরে পোকামাকড় দূর করার উপায় হলো রান্নাঘরে সব সময় তেজপাতার ব্যবহার করা। যে সমস্ত জায়গায় পিঁপড়া বা পোকামাকড়ের উপদ্রব আছে যেমন চাল বা ডালের পাত্রে তেজপাতা রাখলে তাতে পোকা আক্রমণ করে না। এছাড়াও যেসব জায়গায় তেলাপোকার উপদ্রব আছে, সে সমস্ত জায়গায় তেজপাতা রাখলে তেলাপোকা তাড়ানো যায়।
রান্নাঘরের দুর্গন্ধ দূর করার পদ্ধতিঃ রান্নাঘরের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি হলো তেজপাতা জ্বালিয়ে রান্নাঘরে ধোঁয়া ছড়াতে হবে। তেজপাতার সুগন্ধে খারাপ গন্ধ দূর হবে এবং মশা মাছির উপদ্রব থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে।
বই পত্রে পোকা দূর করার উপায়ঃ বইপত্রের পোকা দূর করার উপায় হলো বইয়ের মধ্যে তেজপাতা রাখা। লাইব্রেরী বা পড়ার ঘরে অথবা পড়ার টেবিলে বই সাজিয়ে রাখার সময় সেখানে কয়েকটি তেজপাতা রাখলে তাতে পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচা যায়।
তেজপাতার গাছ লাগানোর নিয়ম ও সংরক্ষণ পদ্ধতি
তেজপাতার গাছে নিয়মিত পানি দিতে হয় এবং এটি রোদে রাখতে হবে। এতে গাছ ভালো
থাকবে। গাছের গোড়ায় অতিরিক্ত পানি জমতে দেয়া যাবে না।
টবে তেজপাতার গাছ লাগানো যায় এতে সব সময় তাজা পাতা পাওয়া যাবে এবং রান্নায়
ব্যবহার করা যায়। তেজপাতা শুকনো এবং কাঁচা পাতা দুটোই ব্যবহার করা
যায়।
তেজপাতার সংরক্ষণ পদ্ধতিটি হল গাছ থেকে তেজপাতা সংগ্রহ করে ছায়ায় শুকাতে
হবে। সরাসরি সূর্যের আলোতে তেজপাতা সকালে এতে গুনাগুন নষ্ট হয়ে
যায়। দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।
তেজপাতা ফ্রিজে রেখেও সংরক্ষণ করা যায়। কাগজে মোড়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে দীর্ঘদিন এটি তাজা থাকবে। শুকনো তেজপাতা ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়।
তেজপাতার অন্যান্য ব্যবহার
তেজপাতার অন্যান্য ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে নারকেল তেল ও তেজপাতা চুলে ব্যবহার করে
চুল পড়া রোধ করা।
দাঁতের ব্যথা কমানোর জন্য তেজপাতা চিবিয়ে খাওয়া। বাচ্চাদের পেটের গ্যাস
দূর করার জন্য তেজপাতার পানি ফুটিয়ে সেই পানি বাচ্চাদের খাওয়ালে পেটের গ্যাস
এবং হজম ভালো হয়। তবে ছোট বাচ্চাদের অল্প পরিমাণে দিতে হবে।
বমি বমি ভাব দূর করার জন্য তেজপাতার সুঘ্রাণ নিতে হয়। যে কোন গাড়িতে ভ্রমণ করার
সময় অথবা গর্ভাবস্থায় যদি বমি বমি ভাব হয় তবে এ পদ্ধতিটি বেশ কাজে
দেয়।
দুর্গন্ধ দূর করার জন্য রান্নার পাত্রে তেজপাতা দিয়ে গরম পানি ফুটাতে
হবে। এতে পাত্রে দুর্গন্ধ দূর হবে এবং পাত্রটি পরিষ্কার হবে। বিশেষ করে
যে পাত্রে মাছ রাখা হয় এ পদ্ধতিটি ব্যবহারে মাসে দুর্গন্ধ দূর হয়।
তেজপাতার ধোঁয়া দিয়ে ঘর জীবাণুমুক্ত করা হয়। তেজপাতা জ্বালিয়ে ঘরে ধোঁয়া
ছড়ালে ঘরের জীবাণু মরে যায় এবং বাতাস পরিষ্কার হয়। বিশেষ করে বর্ষা
মৌসুমে অথবা শীতের সময় সর্দি কাশির সমস্যায় এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করলে সুফল
পাবেন।
তেজপাতার মাধ্যমে প্রাকৃতিক সাবান তৈরি করে ত্বকের যত্ন নেয়া যায়। তেজপাতা বিষে
সাবানের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এতে প্রাকৃতিক সাবান তৈরি হবে যা ত্বকের জন্য
খুবই ভালো এবং বেশ উপকারি।
তেজপাতার অপকারিতা ও সতর্কতা১০
তেজপাতা অতিরিক্ত ব্যবহার করা যাবে না। গর্ভবতী মহিলারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এটি ব্যবহার করতে পারবেন। এলার্জির সমস্যা থাকলে এটি ব্যবহারে সাবধান থাকতে হবে। ছোট শিশুদের জন্য এটি ব্যবহারে বিশেষ যত্নবান হন। আমি নিজে এ পর্যন্ত কোন সমস্যা উপলব্ধি করিনি। যাদের সমস্যা বলে মনে হবে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্যঃ তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা-তেজপাতা খাওয়ার নিয়ম ১১
তেজপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা-তেজপাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানানো হয়েছে এই আর্টিকেলে। আমি নিজেও এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করে বেশ উপকার পেয়েছি। তাই বলছি,আপনি এটি ব্যবহারে উপকার পাবেন,ইনশাআল্লাহ। তবে সেনসিটিভ ত্বকের জন্য বা এলার্জির সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা উচিত।
hiramonsdream er নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url