মায়োপিয়া ও হাইপারমেট্রোপিয়া পার্থক্য- বয়স জনিত চোখের রোগ

মায়োপিয়া ও হাইপারমেট্রোপিয়া পার্থক্য এটি হয় সাধারণত বয়সজনিত চোখের রোগ এর কারণে।মায়োপিয়া হলো দৃষ্টি স্বল্পতা এবং হাইপারমেট্রোপিয়া হলো দৃষ্টির দীর্ঘতা। এই দুইটি হলো চোখের ভিন্ন দৃষ্টি সমস্যা।

মায়োপিয়া ও হাইপারমেট্রোপিয়া পার্থক্য- বয়স জনিত চোখের রোগ

মায়োপিয়া সমস্যা হলে দূরের বস্তু ঝাপসা দেখায় ও হাইপারমেট্রোপিয়া সমস্যা হলে কাছের বস্তু ঝাপসা দেখায়। বয়সজনিত চোখের রোগ এর কারণ,লক্ষণ, প্রতিরোধ ও করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো এই আর্টিকেলে।  

মায়োপিয়া বা দৃষ্টি স্বল্পতা হলে যে সমস্যাগুলো দেখা যায় তা নিচে বর্ণনা করা হলো-

মায়োপিয়া হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে চোখের লেন্স আলোকরশ্মিকে রেটিনার সামনে ফোকাস করে,যার কারণে দূরের বস্তু ঝাপসা দেখায়।

মায়োপিয়া ও হাইপারমেট্রোপিয়া পার্থক্য- বয়স জনিত চোখের রোগ

মায়োপিয়া হলে কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখা গেলেও দূরের জিনিস দেখতে অনেক সমস্যা হয়।
মায়োপিয়াকে দৃষ্টি স্বল্পতা বা নিকটদৃষ্টিও বলা হয়ে থাকে। তাই এ সমস্যা হলে কাছের বস্তু দেখা গেলেও দূরের জিনিস দেখতে পাওয়া যায় না।

মায়োপিয়া বা দৃষ্টি স্বল্পতা প্রতিরোধ 
মায়োপিয়া বা দৃষ্টি স্বল্পতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে মায়োপিয়া বা দৃষ্টি স্বল্পতা প্রতিরোধ করা যায়। প্রতিদিন সবুজ গাছ-পালার দিকে প্রায় ৫ মিনিট তাকিয়ে থেকে চোখের ব্যায়াম করুন। এতে দৃষ্টি শক্তি প্রখর হবে। বেশি পরিমাণে ভিটামিন-এ যুক্ত খাবার খেতে থাকুন। প্রতিদিন শাকসবজি ও নদীর ছোট মাছ খান, এতে চোখের জ্যোতি বাড়বে এবং চোখ ভালো থাকবে।    

হাইপারমেট্রোপিয়া দৃষ্টি দীর্ঘতা
হাইপারমেট্রোপিয়া হল এমন একটি অবস্থা যেখানে চোখের লেন্স আলোকরশ্মিকে রেটিনার পিছনে ফোকাস করে যার কারণে কাছের বস্তু ঝাপসা দেখা যায়।
হাইপারমেট্রোপিয়া সমস্যা হলে দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখা গেলেও কাছের জিনিস দেখতে অনেক সমস্যা হয়।
হাইপারমেট্রোপিয়াকে দৃষ্টি দীর্ঘতা বা দূরদৃষ্টিও বলা হয়ে থাকে। সমস্যা হলে চোখের চারপাশে ব্যথা অনুভূত হয়। 

হাইপারমেট্রোপিয়া বা দৃষ্টি দীর্ঘতা বা দূরদৃষ্টি প্রতিরোধ 
হাইপারমেট্রোপিয়া বা দৃষ্টি দীর্ঘতা বা দূরদৃষ্টি প্রতিরোধ যোগ্য নয় তবে আপনার চোখের যত্ন নিয়ে এর ঝুঁকি কমাতে পারেন। 
যে কোন সমস্যা তাড়াতাড়ি সনাক্ত করতে নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করুন।
আপনার ডায়াবেটিস বা রক্তচাপের মতো দীর্ঘস্থায়ী কোন সমস্যা থাকলে। বার্ষিক চেকআপ করুন যা আপনার দৃষ্টিকে প্রভাবিত করতে পারে। 
যদি আপনার চোখের সমস্যা যেমন গ্লুকোমা থাকে তবে আপনার ডাক্তারের চিকিৎসা পরিকল্পনা অনুসরণ করা উচিত। 
আপনার দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন দেখা দিলে বা আপনার চোখে ব্যাথা,চোখ লাল বা আপনার চোখের পানি পড়া এসব সমস্যা হলে দ্রুত ভালো কোন চোখের ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিন। 
আপনি যদি আপনার বাড়িতে এবং আপনার অফিসে সঠিক পরিমাণ আলোতে আপনার ক্লোজআপ দৃষ্টি রক্ষা করেন তবে আপনি চোখের চাপ প্রতিরোধ করতে পারেন এটি আপনার চোখের বিছানের জন্য সারাদিন বিরতি নিতে সাহায্য করবে আপনি যদি দীর্ঘ সময় আপনার কম্পিউটার ট্রেনে কাজ করতে থাকেন অথবা মোবাইলের স্ক্রিনে ভিডিও দেখতে থাকেন তবে এটি আপনার চোখের মারাত্মক ক্ষতি করবে। তাই দীর্ঘ সময় ধরে এগুলোর ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। 

বয়স জনিত চোখের রোগ বা মায়োপিয়া ও হাইপারমেট্রোপিয়া সমস্যা হলে করণীয়
বয়স জনিত চোখের রোগ বা মায়োপিয়া ও হাইপারমেট্রোপিয়া সমস্যা হলে করণীয় কি এবার তা আলোচনা করছি। নিয়মিত চোখের ডাক্তারের কাছে চুপ পরীক্ষা করুন। প্রতি ৫ বছর অন্তর চোখের পাওয়ার চেক করুন।
ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। হঠাৎ করে দৃষ্টিশক্তিতে পরিবর্তন হলে অথবা চোখে কম দেখলে অতি দ্রুত চক্ষু বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে বেশিরভাগ বয়স জনিত চোখের রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। তাই চোখের রোগ সম্পর্কে সচেতনতা এবং নিয়মিত পরীক্ষা করার মাধ্যমে অনেক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। নিয়মিত ও পরিমিত পুষ্টিকর খাদ্য খেয়ে চোখের বয়স জনিত বা মায়োপিয়া ও হাইপারমেট্রোপিয়া রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই আপনি নিয়মিত ও পরিমিত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন। 







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

hiramonsdream er নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url