মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সহজ উপায়

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সহজ উপায় সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে চাইলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজ আমরা অনলাইনে বা অফলাইনে কিভাবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায় তার সহজ উপায় নিয়ে এই আর্টিকেলে আলোচনা করবো। বেঁচে থাকার প্রয়োজনেই টাকা উপার্জনের বা আয় করার দরকার পড়ে।

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সহজ উপায়

তাই আপনি যেনো খুব সহজেই টাকা আয় করে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং স্বাবলম্বী হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন এবং সুখের হাসি হাসতে পারেন তাই আমাদের এই আর্টিকেলে আয় করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

পেজ সূচিপত্রঃমাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সহজ উপায় 

  • মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সহজ উপায় 
  • অফলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সহজ উপায় 
  • ঘরে তৈরি খাবার ব্যবসা
  • ফ্রিল্যান্সিং করা
  • রেডিমেড ড্রেসের ব্যবসা
  • পাখি ও মাছ পালন এবং বিক্রয়
  • গার্ডেনিং বা নার্সারি করা
  • জুয়েলারি তৈরি করা অথবা কিনে বিক্রি করা
  • ঘরে কেক তৈরি করে বিক্রি করা
  • ঘরে আচার তৈরি করে বিক্রি করা
  • বুটিক হাউস তৈরি করে ব্যবসা করে আয়  
  • ডিলারশিপের ব্যবসা করে আয়
  • অনলাইনে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সহজ উপায় 
  • ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
  • ব্লগিং করে আয়
  • ইউটিউবিং করে আয় 
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় 
  • অনলাইন টিউশনি বা কোর্স বিক্রি 
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট 
  • ই-কমার্স বা ড্রপশিপিং
  • অনলাইন সার্ভে এবং মাইক্রোটাস্ক 

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সহজ উপায় নিয়ে এখন বলবো। মেয়েরা ঘরে বসে পর্দা রক্ষা করে টাকা আয় করতে পারে এমন কয়েকটি ব্যবসার কথা আলোচনা করবো আজ। আপনার শখের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। ঘরে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন। পোষা প্রাণী বা পোষা পাখির খামার করে এবং সেগুলো বিক্রি করে আয় করা যায়।  

ঘরে তৈরি খাবার ব্যবসা

ঘরে তৈরি খাবার বিক্রি করে ব্যবসা করা যায়। আপনি ঘরে খাবার তৈরি করে এবং ঐ খাবার হোম ডেলিভারি করে আয় করতে পারেন।  ঘরে তৈরি খাবার বিভিন্ন অফিসে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিফিন এর খাবার হিসেবে সাপ্লাই দিয়ে এই ব্যবসা করে আয় করা যায়।   

ফ্রিল্যান্সিং করা

ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং খুব জনপ্রিয় হওয়ায় তরুণ-তরুণীরা ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করতে খুব সচেষ্ট হচ্ছে। যেহেতু শিক্ষিত সমাজের মানুষেরা ফ্রিল্যান্সিং এর মত মুক্ত পেশাকে বেছে নিচ্ছে তাই এই পেশার চাহিদা বেশি। ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আয় করে অল্পসময়ে বেশি বেশি লাভবান হওয়া যায়।  

রেডিমেড ড্রেসের ব্যবসা

রেডিমেড ড্রেসের ব্যবসা করে আপনি আয় করতে পারেন। আপনি বাজার থেকে পাইকারি রেটে গজ কাপড় কিনে এনে তা দিয়ে সুন্দর সুন্দর ড্রেস তৈরি করতে পারেন। এভাবে রেডিমেড ড্রেস বানিয়ে তা মানুষের কাছে বিক্রি করে আয়-উপার্জন করে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারেন নিশ্চিন্তে। কারণ, রেডিমেড ড্রেসের ব্যবসা এখন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

পাখি ও মাছ পালন এবং তা বিক্রয় করে আয় করা 

পাখি ও মাছ পালন এবং বিক্রয় করে আয় করা সম্ভব। বাড়ির উঠোনে বা ছাদে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখি পালন করলে নিজের শখ পূরণের পাশাপাশি সেগুলো বিক্রি করে আয় করা সম্ভব। আবার,নিজেদের পুকুরে পোনা মাছ ছেড়ে কিছুদিন চাষ করলেই তা বড় মাছে পরিণত হবে এবং সেগুলো বাজারে বিক্রি করে টাকা আয় করা যায়। অথবা,একুরিয়ামে বিদেশি মাছ যেমন-গোল্ডেন ফিশ চাষ করে এবং সৌখিন মানুষগুলোর কাছে তা বিক্রয় করেও অনেক টাকা আয় করা সম্ভব।   

গার্ডেনিং বা নার্সারি করা

গার্ডেনিং বা নার্সারি করার পর তা থেকে ফুল এবং গাছের চারা বিক্রি করে আপনি স্বাবলম্বী হতে পারেন। আপনার যদি এক খণ্ড জমি থাকে,তবে সে জমিতে গার্ডেনিং বা বাগান করে ফুলের চাষ করে তা বিক্রি করে বা নার্সারি তৈরি করে তা থেকে গাছের চারা বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। আবার,বাড়ির আঙিনায় বা ছাদে টবে ফুলের চারা লাগিয়ে বা তার পরিচর্যার মাধ্যমে ফুল উৎপাদন করে তা বিক্রি করেও টাকা উপার্জন করা সম্ভব।   

জুয়েলারি তৈরি করা অথবা কিনে বিক্রি করা

জুয়েলারি তৈরি করা অথবা কিনে বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি বিজনেস করতে পারেন। আপনি যদি অল্প পুঁজি দিয়ে বেশি ইনকাম করতে চান তাহলে মেয়েদের পছন্দনীয় জুয়েলারি পাইকারি রেটে কিনে এনে তা বেশি দামে বেচে দিয়ে আয় করতে পারেন। আবার, জুয়েলারি তৈরির উপাদান যেমন-পুঁথি,স্টোন বা পাথর,প্লাস্টিকের বা কাপড়ের ফুল দিয়ে মালা ও কানের দুল,হাতের চুড়ি ইত্যাদি জুয়েলারি তৈরি করে এবং ঐসব বিক্রি করে বেশি লাভের মাধ্যমে আয় করা যায়। 

ঘরে কেক তৈরি করে বিক্রি করা

ঘরে কেক তৈরি করে বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন। আপনি যদি কেক বানানো শিখে থাকেন তবে বাড়িতে কেক বানিয়ে এবং তা বেচে দিয়ে আয় করতে পারেন। কারণ, মানুষ এখন হোম মেড কেক বেশি পছন্দ করে। বাজারের অস্বাস্থ্যকর ডালডা দিয়ে বানানো কেকের চাইতে ঘরের কেকের চাহিদা বেশি। তাই বাড়িতে বানানো স্বাস্থ্যসম্মত কেক বানিয়ে এবং ঐ গুলো বিক্রি করে অনায়াসে টাকা আয় করা যায়।    

ঘরে আচার তৈরি করে বিক্রি করা

ঘরে আচার তৈরি করে বিক্রি করা যায়। মেয়েরা এবং ছোটো বাচ্চারা আচার খুব পছন্দ করে থাকে। গরমের সময় আমের আচার, সারা বছর তেঁতুলের আচার,আমলকীর আচার,অলবরই এর আচার,চালতার আচার,আমড়া ও জলপাই এর আচার ইত্যাদি আচার ঘরে তৈরি করে এবং সেসব মানুষের কাছে বিক্রি করে আয় করা যায়।   

বুটিক হাউস তৈরি করে ব্যবসা করে আয় 

বুটিক হাউস তৈরি করে ব্যবসা করে আয় করতে পারেন। সেখানে আপনি বহু লোকের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে আপনি নিজেও আয় করতে পারবেন এবং অন্যরাও বেকারত্ব ঘুচাতে পারবে। কাপড় কিনে এনে তা দিয়ে পোশাক তৈরি করে তাতে হাতের কাজ করে ফুল ছাপিয়ে আরো আকর্ষণীয় করে তৈরি করে তা বিক্রি করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা অবশ্যই সম্ভব,তবে এর জন্য আপনাকে কর্মঠ ও উদ্যমী হতে হবে। 

ডিলার শিপের ব্যবসা করে আয় 

ডিলার শিপের ব্যবসা করে আয় করা যায়। বিভিন্ন নামকরা প্রতিষ্ঠানের ডিলারশিপ নিয়ে তাদের সেই পণ্যগুলো বিক্রয়ের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

hiramonsdream er নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url