গোলমরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা

গোলমরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি তা জানতে পারবেন। গোলমরিচের আশ্চর্যজনক উপকারিতা এবং এর কিছু অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

গোলমরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রতিদিনের রান্নায় গোলমরিচ ব্যবহার করা হয়। গোলমরিচের অল্প কিছু অপকারিতা আছে সে সম্পর্কে জানবেন। তাহলে আসুন জেনে নেই,গোলমরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং এটি ব্যবহারের সতর্কতা সম্পর্কে।   

পেজ সূচিপত্রঃগোলমরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা 

গোলমরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা    

গোলমরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিবো ইনশাআল্লাহ। তীক্ষ্ণ সাধের জন্য হিন্দিভাষী  গ্রামাঞ্চলের মানুষ গোলমরিচকে "তীখে" বলে থাকেন। যারা রান্নায় লঙ্কা বা ঝাল খেতে চান না, তারা ব্যঞ্জন বা তরকারিতে ঝাল করতে গোলমরিচ ব্যবহার করেন। গোলমরিচ দুই রকমের- সাদা ও কালো। অর্ধপক্ক দানাগুলো শুকিয়ে গেলেই কালো গোলমরিচ পাওয়া যায়।

গোলমরিচের দানা যখন পুরোপুরি পেকে যায় তখন উপরের কালো খোসাটা ছাড়িয়ে দিলেই পাওয়া যায় সাদা গোলমরিচ। সাদা গোলমরিচের মূল্য বেশি । অনেকেই রান্নায় সাদা গোলমরিচ ব্যবহার করেন।কারণ গোলমরিচের চূর্ণ মেশালে তা তরকারিতে মিশে না,কালো কালো দেখা যায় তাই দেখতে ভালো লাগে না।  কিন্তু সাদা গোলমরিচের গুড়ো তরকারিতে মিশে যায়,তাই আলাদা করে বোঝা যায় না। 

সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের প্রয়োগে কালো গোলমরিচের উপকারিতার কথা বলা হবে। 

গোলমরিচের উপকারিতা

গোলমরিচের উপকারিতাগুলো নিচে আলোচনা করা হলো। 
  • আয়ুর্বেদ মতে, গোলমরিচের উপকারিতাঃকালো গোলমরিচ উষ্ণ,কটু,তীক্ষ্ণ,রুক্ষ,অগ্নি উদ্দিপক অর্থাৎ খিদে বাড়িয়ে দেয়, রুচি বৃদ্ধি করে,কফ নাশক এবং বায়ু নাশক। শ্বাস,শুল,কফ,কৃমি এবং হৃদরোগে উপকারী।
  • হাকিমি বা ইউনানী মতে,গোলমরিচের উপকারিতাঃগোলমরিচ কফনাশক,স্মৃতিশক্তি বর্ধক,পেশি স্নায়ুমন্ডল,পাকস্থলী এবং যকৃত বা লিভার সবল করে। এটি টক ঢেঁকুর ওঠা বা অম্লোদগার বন্ধ করে,কামোদ্দীপক,আগ্নেয় বা ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়, পেট ফোলা ভাব এবং পেটের গ্যাস দূর করে, রক্ত শোধন করে, ক্ষুধা উৎপাদন করে,বুকের ব্যথা এবং কফের জন্য ব্রেনে যে অসুখ হয় সেগুলো উপশম করে।
  • আধুনিক চিকিৎসকদের মতে,গোলমরিচের উপকারিতাঃআধুনিক চিকিৎসকদের মতে,গোলমরিচ ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস নাশক । গোলমরিচ হৃদ রোগ বা হার্টের অসুখ দূর করে। পুরনো জ্বর,দাঁতের ব্যথা,মাড়ি ফুলে যাওয়া,কটিবাত,প্লীহা বৃদ্ধি,পক্ষাঘাত,শ্বেতী রোগ,গলগন্ড,চোখের অসুখ,মেয়েদের ঋতুস্রাব কম হওয়া ইত্যাদি অসুখের উপশম করে।
  • বিজ্ঞানীদের মতে,গোলমরিচ উষ্ণ,অগ্নিদীপক,বাতহর ও উত্তেজক। গোলমরিচ খেলে মুখে লালা বেশি সৃষ্টি হয়, ধমনীতে ক্ষিপ্রতা আনে, ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং মলদ্বার, মূত্রাশয়,গর্ভাশয় এবং জননেন্দ্রিয়ের উপর উত্তেজক প্রভাব পড়ে।
  • বিষাক্ত পোকার কামড়ে আক্রান্ত জায়গায় ভিনেগারের সাথে মিশিয়ে গোলমরিচের গুড়ের প্রলেপ লাগালে উপকার পাওয়া যায়।  

গোলমরিচের অপকারিতা

গোলমরিচের অপকারিতাগুলো নিচে দেয়া হলো- 

  • গ্রীষ্মের সময় গোলমরিচ অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় গোলমরিচ খাওয়া উচিত নয় এতে মা এবং বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। 
  • যাদের অ্যালার্জি আছে গোলমরিতে তারা যদি গোলমরিচ খায় তাহলে ত্বকের চুলকানি ফোলা ভাব এবং লাল র‍্যাশের মতো কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
  • কালো গোলমরিচের গন্ধে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
  • প্রাকৃতিক ভাবে গোলমরিচ গরম তাই গোলমরিচ যদি অতিরিক্ত খাওয়া হয় তাহলে পেটের জ্বালা ভাব অনুভূত হতে পারে।
  • যাদের গ্যাস্ট্রোইন্টেসটাইনাল সমস্যা আছে গোলমরিচ খেলে পেটের অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই সমস্যা যাদের আছে তারা গোলমরিচ খাবেন না। 
  • যাদের গোলমরিচে এলার্জি আছে তাদের স্কিনে এবং চোখে গোলমরিচ সরাসরি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আবার,গোলমরিচ খেলে চোখে প্রচুর জ্বালা যন্ত্রণা হতে পারে। তাই গোলমরিচ ব্যবহারে  সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।  

গোলমরিচ হজমে সহায়তা করে

গোলমরিচ হজমে সহায়তা করে। গোলমরিচের মধ্যে পিপারের নামক একটি উপাদান থাকে যার জন্য এর স্বাদ ঝাঁঝালো লাগে। গোলমরিচের মধ্যে আছে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড,যা খাদ্য হজমে সহায়তা করে। 

গোলমরিচ ওজন কমাতে সাহায্য করে

গোলমরিচ ওজন কমাতে সাহায্য করে। গোলমরিচ ফ্যাট সেল গুলোকে ভেঙ্গে দেয়।  এর ফলে ক্যালোরি কম হয় এবং ওজন কমে এবং এটি এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে।  

ক্যান্সারের অন্যতম ওষুধ হলো গোলমরিচ

ক্যান্সারের অন্যতম ওষুধ হলো গোলমরিচ। এতে থাকা পিপারের নামক উপাদানটি ক্যান্সারের অন্যতম ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভিটামিন এ,ভিটামিন সি এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে ক্ষতিকর ফ্রী রেডিক্যালসের হাত থেকে রক্ষা করে এবং আমাদের শরীরকে ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচায়।  

সর্দি কাশি কমাতে সাহায্য করে গোলমরিচ

সর্দি কাশি কমাতে গোলমরিচ দারুনভাবে কাজ করে। এক চামচ মধু এবং গোলমরিচ গুঁড়োর মিশ্রণ সেবনে খুব দ্রুত সর্দি কাশির সমস্যার সমাধান করতে পারেন। বুকে জমে থাকা সর্দি বা কফ দূর করতে এটি সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ভাইরাস জনিত ইনফেকশন রোধে সহায়তা করে। এছাড়াও গরম দুধে গোলমরিচ আর চিনি মিশিয়ে খেলে সর্দি সারে। গোলমরিচ দিয়ে ফোটানো দুধ খেলে কাশি সারে। 

শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে এবং শরীরের ব্যথা কমায় গোলমরিচ

শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে এবং শরীরের ব্যথা কমায় গোলমরিচ। গোল মরিচ খেলে শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং এর ফলে শরীরের ব্যথা কমে যায়। 

গোলমরিচ ত্বকের জন্য  খুবই উপকারী

গোলমরিচ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। গোলমরিচ শরীরকে ভেতর থেকে সচল রাখতে সাহায্য করে। বাইরের ক্ষতিকর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। এটি ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে অর্থাৎ এন্টি এজিং হিসেবে কাজ করে। 

গোলমরিচ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

গোলমরিচ রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গোলমরিচ খেলে আমাদের শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ভিটামিন এ,ভিটামিন সি এবং সেলেনিয়াম রয়েছে। এগুলি সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। আর তাই প্রতিদিন চার-পাঁচটা গোলমরিচ খাওয়ার ফলে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

ঝিমুনি ভাব বা ঘুম ঘুম সমস্যা দূর করে গোলমরিচ      

ঝিমুনি ভাব বা ঘুম ঘুম সমস্যা দূর করে গোলমরিচ। যাদের ঘুম ঘুম লাগে বা ঝিমুনি ভাব থাকে এবং এতে সর্বদা বিরক্ত থাকেন,তাহলে গোলমরিচের চা খান। এটি মস্তিষ্কের ডোপামিন নামক একটি রাসায়নিক উপাদান তৈরিতে সাহায্য করে,যা আপনাকে মন প্রফুল্ল রাখতে এবং ভালো বোধ করতে সাহায্য করবে।এর ফলে আপনি সবসময় একটিভ থাকতে পারবেন।

দাঁত ও মাড়ির সমস্যা সমাধানে গোলমরিচ

দাঁত ও মাড়ির সমস্যা সমাধানে গোলমরিচ দারুন কার্যকর। যাদের মাড়িতে রক্ত পড়ে বা দাঁত খারাপ হতে শুরু করেছে তারা গোলমরিচ পিষে লেবুর রস এবং লবণ ভালো করে মিশিয়ে নেওয়ার পরে ওই সমস্ত জায়গায় ম্যাসাজ করুন। এর ফলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হবে এবং মুখের খারাপ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এটি ব্যবহারের ফলে দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষিত থাকবে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে।

লবণ ও গোলমরিচ চূর্ণ দিয়ে দাঁত মাজলে নানা রকম দাঁতের রোগ থেকে আরাম পাওয়া যায়। দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে গোলমরিচ। দাঁতের সমস্যায় অর্থাৎ দাঁত ব্যথায় গোলমরিচ খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। দাঁতের ব্যথায় গোলমরিচের প্রলেপ উপকারী।    

গোলমরিচ আমাশয় দূর করতে সাহায্য করে

গোলমরিচ আমাশয় দূর করতে সাহায্য করে। যারা আমাশয় রোগে ভুগছেন তারা গোলমরিচ গুঁড়ো সকাল বিকাল দুই বেলা পানির সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করতে পারেন। এভাবে দুই তিন দিন খেলেই আমাশয় দূর হয়ে যাবে আশা করা যায়। 

নাসা রোগে উপকারী গোলমরিচ

নাসা রোগে উপকারী গোলমরিচ। যারা দীর্ঘদিন নাকের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন,তারা নিয়মিত দুই- তিনটি গোলমরিচের গুঁড়ো দই আর পুরনো গুড় মিশিয়ে খাওয়ালে নাক থেকে রক্ত পড়া বা  নাসা রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এছাড়াও চায়ের সাথে কয়েকটি গোলমরিচ ফুটিয়ে পান করলেও বেশ উপকার পাওয়া যায়। প্রায় ১৫ টা গোলমরিচ মিহি করে পিষে নিয়ে প্রতিদিন মধু মিশিয়ে চেটে খেলে শ্বাসরোগে উপকার হয়। 

গোলমরিচ কৃমির সমস্যা দূর করে

গোলমরিচ কৃমির সমস্যা দূর করে। গোলমরিচ গুঁড়ো দুধের সাথে মিশিয়ে সকাল বিকাল দুইবার খেতে হবে তাহলে কৃমির মতো সমস্যা দূর হয়ে যাবে। গোলমরিচ লবণ একসাথে মিশিয়ে খেলে বমি হওয়া কমে। চিরতার সাথে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলেও জ্বর সারে  এবং অলসতা দূর হয়। 

টাক পড়া সমস্যা রোধে গোলমরিচ    

টাক পড়া সমস্যা রোধে গোলমরিচ ব্যবহার করা যায়। টাক পড়ে যাওয়ার সমস্যাই বেশিরভাগ মানুষই ভুগতে  থাকেন। তাই যারা টাক পড়ে যাওয়ার মত সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এই টিপসটি খুবই কার্যকর। মাথায় যেখানে চুল উঠে গেছে অর্থাৎ টাক পড়ে গেছে সেখানে পেঁয়াজের রস লাগান এবং তারপরে ওই জায়গায় গোলমরিচ এবং সিন্দুক লবণ একসাথে বেটে লাগিয়ে রাখুন। এইভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করার ফলে আশ্চর্য জনক ফলাফল দেখতে পাবেন অর্থাৎ এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

চোখের অসুখ সারাতে সাহায্য করে গোলমরিচ      

চোখের অসুখ সারাতে সাহায্য করে গোলমরিচ। গোল মরিচ খেলে চোখের অসুখ সেরে যায়। গোল মরিচ ভালোভাবে পুড়িয়ে চোখে কাজলের মতো করে দিতে পারলে চোখে ঝাপসা দেখা,চোখ দিয়ে পানি পড়া এবং চোখের ছানি পড়া রোধের এই সমস্যাগুলো দূর হয়ে যেতে পারে। দইয়ের সাথে ঘষে পুড়িয়ে চোখে কাজলের মতো পড়লে রাতকানা রোগের প্রশমন হয়।  

হেঁচকি বন্ধ করতে সাহায্য করে গোলমরিচ     

হেঁচকি বন্ধ করতে সাহায্য করে গোলমরিচ। কারো যদি অনাকাঙ্ক্ষিত হেঁচকি ওঠে তাহলে সেই হেচকি বন্ধ করতে গোলমরিচ পুড়িয়ে সেই গোলমরিচ পোড়া ধোঁয়া ওই ব্যক্তিকে শুকালে হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে।

পেটের পীড়া সারাতে গোলমরিচ    

পেটের পীড়া সারাতে গোলমরিচ সাহায্য করে। পেট ফাঁপা বা পেটের অসুখ হলে পুরনো গোলমরিচ খেলে তা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। একটি কিসমিসের সঙ্গে গোলমরিচ চিবিয়ে খেলে মস্তিষ্ক সহ পাকস্থলীর দূষিত বায়ু নষ্ট হয়ে যায়। লেবুর রস ও আদার সঙ্গে অল্প গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে পেটের ব্যথা কমে যায়। পেট ফাঁপা,একটানা পেটের অসুখ বা পুরনো পেটের অসুখে এবং আমাশয় হয়ে শারীরিক দুর্বলতায় গোলমরিচ খেলে উপকার পাওয়া যায়। 

ফোড়া সারাতে গোলমরিচ এর ব্যবহার    

ফোড়া সারাতে গোলমরিচ এর ব্যবহার করা হয়। ফোড়া সারাতে গোলমরিচ উপকার করে। গোলমরিচ বেটে ফোড়াতে লাগালে তাড়াতাড়ি ফোড়া পেকে যায়,ব্যথা কমে যায় এবং তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়া যায়।

ম্যালেরিয়া সারাতে গোলমরিচ সাহায্য করে

ম্যালেরিয়া সারাতে গোলমরিচ সাহায্য করে। তুলসী পাতার রসের সাথে গোল মরিচের গুড়ো এবং মধু ভালো করে মিশিয়ে সেবন করলে ম্যালেরিয়া ভালো হয়ে যায়। ভালো ফলাফল পেতে জ্বর থাকা অবস্থায় পর পর কয়েক দিন এ মিশ্রণ সেবন করতে হবে।

চুলকানি কমাতে গোলমরিচ সাহায্য করে    

চুলকানি কমাতে গোলমরিচ সাহায্য করে। যারা দীর্ঘদিন চুলকানি রোগে আক্রান্ত তারা নিয়মিত কয়েকদিন গোলমরিচ গন্ধক মিহি করে পিষে ঘি দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিয়ে (ঠাণ্ডা করে) গায়ে লাগালে এবং তারপরে রোদে গিয়ে বসলে চুলকানি সেরে যায়। 

লেখকের মন্তব্যঃগোলমরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা

গোলমরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আর্টিকেলটিতে জানানো হয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে গোলমরিচের ব্যবহার লক্ষ্যনীয়। প্রতিদিন প্রয়োজন অনুযায়ী অল্প পরিমাণে গোলমরিচের ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। মনে রাখতে হবে, প্রতিদিন টাটকা গোলমরিচ পিষে  ব্যবহার করলেই সুফল পাওয়া যাবে।

আরো মনেরাখা জরুরি,কোন কিছুই অতিরিক্ত ব্যবহার করা ভালো নয়। গোলমরিচও মাত্রাধিক পরিমাণে খেলে তা শরীরের উপকার না করে ক্ষতিই করবে। তাই সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক উপায়ে গোলমরিচ খেলেই সুফল পাওয়া যাবে আশা করা যায়।                 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

hiramonsdream er নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url