জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো আজকের আর্টিকেলে। জাম  গ্রীষ্মকালের একটি জনপ্রিয় ফল। অন্যান্য মৌসুমী ফলের তুলনায় জাম খুব কম সময়ের জন্য বাজারে আসে। দেশীয় এই ফলটি পুষ্টিগুণে অনন্য। জামের উপকারিতা অতুলনীয়। 

জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন জাম খাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। নিয়ম না মেনে জাম খেলে পুষ্টির বদলে ক্ষতির প্রভাব পড়তে পারে। জাম খাওয়ার উপকারিতা  ও জাম খাওয়ার ক্ষতির দিক তুলে ধরা হবে এই আর্টিকেলে যা জানা প্রত্যেকের জন্য জরুরি। 

জাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

জাম খাওয়ার উপকারিতাগুলো নিচে দেয়া হলোঃ

  1. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
  2. হজম শক্তি উন্নত করে।
  3. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে।
  4. লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
  5. ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর রাখে।
  6. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  7. ওজন কমাতে সহায়তা করে।
  8. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
  9. রক্তস্বল্পতা দূর করে।
  10. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। 
  11. বাতের ব্যথা সারাতে জাম কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
  12. পেট ফাঁপা সহ হজমজনিত বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করে।
  13. ডায়াবেটিস রোগীর দুর্বলতা ঘন ঘন তৃষ্ণা দূর করে।
  14. রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। 
  15. গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে প্রতিদিন জাম খাওয়া উচিত।
  16. বাহ্যিক সংক্রমনকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
  17. লিভার এবং কিডনি পরিষ্কার রাখে।
  18. শ্বেত রক্ত কোষের উৎপাদন বাড়ায়।
  19. দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখে।
  20. শরীরে বাড়তি ওজন কমায় তো ওকে ১৫ জীবিত করে এবং তোকে অবাঞ্ছিত দাগ কমায়।
  21. ভিটামিন সি, আয়রন এবং অ্যান্থোসায়ানিন এর চমৎকার উৎস হিসেবে কাজ করে।
  22. নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করে।
  23. মুখের প্রদাহ কমায়।
  24. হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে। 
  25. রক্ত বিশুদ্ধ করে এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়।
  26. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দুর্দান্ত কাজ করে।
  27. এটি ইনফেকশন কমায় এবং ব্রণ, পিগমেন্টেশন এবং চুল পড়া কমাতে কার্যকর।
  28. এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এ ভরপুর, শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। 

জাম খাওয়ার অপকারিতাগুলো দেয়া হলোঃ

খালি পেটে জাম খেলে বুক জ্বালাপোড়া সহ এসিডিটির সমস্যা হতে পারে।

জাম খাওয়ার পর হলুদ বা হলুদ দিয়ে তৈরি খাবারগুলো খাওয়া যাবে না। জাম খেলে বদ হজমের সমস্যা হতে পারে। জাম খাওয়ার আগে ও পরে প্রায় দুই ঘন্টা দুধ বা দুধ দিয়ে তৈরি কোন খাবার যেমনঃ মাখন, ঘি,দই ইত্যাদি গ্রহণ করা ঠিক নয়। ডায়াবেটিস রোগী, গর্ভবতী নারী এবং দুগ্ধ দানকারী মা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবে জাম খেতে পারবেন, তা না হলে সমস্যা হতে পারে।    


জাম গ্রীষ্মকালীন একটা জনপ্রিয় মৌসুমী ফল, যাকে ইংরেজিতে জামুন বা ব্ল্যাক পাম  বলা হয়। এটি কালচে বেগুনি রঙের এবং টক মিষ্টি স্বাদের। এই ফলটি কেবল স্বাদের জন্য নয় স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য পরিচিত। তবে সবকিছুরই যেমন ভালো দিক আছে তেমনি কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে। তাই এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা রয়েছে।  

জামের উপকারিতা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহায়কঃ জামে রয়েছে জাম্বোলিন ও জেমসের নামক যৌগ যার রক্তে সিনেমার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

হজম শক্তি বাড়ায়ঃ জমে থাকা ট্রেনিন ও ফাইবার হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ ক্যালোরি কম থাকায় এবং ফাইবার বেশি থাকায় যান ওজন কমানোর ডায়েটের জন্য উপযুক্ত।

লিভার ও কিডনির জন্য উপকারীঃ জাম লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং কিডনি ফাংশন উন্নত করে।

ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য রক্ষা করেঃ ত্বক ফর্সা করে এবং চুলের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।

ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করেঃ এতে থাকা ভিটামিন সি এবং আয়রন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

রক্ত বিশুদ্ধ করেঃ জাম রক্তের জমে থাকা টক্সিন দূর করতে বেশ কার্যকর।

পেটে কৃমি ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় উপকারীঃ বিশেষ করে ছেলেমেয়েদের পেটের কৃমি দূর করতে জাম বেশ কার্যকর।

অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায় রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া রোগের খুব উপকারী।

মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ জান দাঁতের মাড়ির ইনফেকশন ও দুর্গন্ধ কমাতে সহায়তা করে।

জামের অপকারিতা 

অতিরিক্ত খেলে পেটের সমস্যাঃ অতিরিক্ত খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে, যেমনঃডায়রিয়া,বদহজম ইত্যাদি হতে পারে।    

খালি পেটে খেলে গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকিঃ টক স্বাদের জন্য খালি পেটে খেলে এসিডিটি বেড়ে যায়।

রক্তচাপ কমে যেতে পারেঃ জাম কিছু ক্ষেত্রে ব্লাড প্রেসার কমাতে পারে যা শুধু যারা ওষুধ খাচ্ছে তাদের জন্য সমস্যা হতে পারে।

এলার্জির সম্ভাবনাঃ কারো কারো শরীরে চুলকানি বা ফুসকুড়ি হতে পারে, বিশেষ করে যাদের অ্যালার্জি প্রবণতা বেশি।

যারা ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ বা বদহজম জনিত সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা জাম খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

hiramonsdream er নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url