ক্যান্সার প্রতিরোধ করে যেসব খাবার সেগুলো সম্পর্কে জানা খুব জরুরি। আমাদের আজকের
আর্টিকেলে আপনি ক্যান্সার প্রতিরোধক খাদ্য কি কি এবং তা কিভাবে কাজ করে তা
সম্পর্কে জানাবো।
আপনাদের প্রতিদিনের খাবার হোক আমাদের আসল ওষুধ কারণ সঠিক খাদ্যই হতে পারে
ক্যান্সার প্রতিরোধক। সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন করতে চাইলে লাইফ স্টাইল চেঞ্জ করতে হবে এবং ওষুধের উপর নির্ভর না করে নিরাপদ খাবার খাওয়ার অভ্যাস করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করাই বুদ্ধিমানের মত কাজ করা হবে।
পেজ সূচিপত্রঃক্যান্সার প্রতিরোধ করে যেসব খাবার
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে যেসব খাবার
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে যে সব খাবার তার নাম গুলো জেনে নিই। আমরা যা খাই তা
আমাদের শরীরের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলে। প্রতিদিনের প্লেটে যদি থাকে বিজ্ঞানসম্মত খাদ্য
উপাদান তাহলে ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচার সম্ভব হয়। এন্টিঅক্সিডেন্ট
এবং কিছু খাবার প্রাকৃতিকভাবে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে যে সব খাবার তার নাম গুলো নিচে দেয়া হলো-
- ব্রোকলি
- রসুন
- বেরি জাতীয় ফল যেমনঃ ব্ল ু বেরি বা স্ট্রবেরি
- হলুদ বা টার্মারিক
- টমেটো
- শাক-সবজি যেমনঃপালং,কেলে,স্পিনাচ
- গ্রীন টি
- বাদাম যেমনঃ আখরোট,আমন্ড
ব্রোকলির ক্যান্সার প্রতিরোধী কাজ
ব্রোকলির ক্যান্সার প্রতিরোধী কাজ জেনে নিই। ব্রোকলিতে সালফোরাফেন নামে
একটি বিশেষ যৌগ থাকে যা শরীরের ডিটক্স এনজাইম কে সক্রিয় করে এবং
ক্যান্সার কোষের বিকাশে বাধা প্রদান করে।
রসুনের ক্যান্সার প্রতিরোধী কাজ
রসুনের ক্যান্সার প্রতিরোধী কাজ কিভাবে হয় তা জেনে নিন। রসুনে উপস্থিত
অ্যালিসিনসহ একাধিক সক্রিয় উপাদান ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিকের
বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে।
বেরি জাতীয় ফল (যেমনঃ ব্ল ু বেরি বা স্ট্রবেরি) এর ক্যান্সার প্রতিরোধী
কাজ
বেরি জাতীয় ফল (যেমনঃ ব্ল ু বেরি বা স্ট্রবেরি) এর ক্যান্সার প্রতিরোধী কাজ
হলো-এই ফল গুলোতে থাকা অ্যান্থসায়ানিক নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
খোসকে সুরক্ষা দেয় এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
হলুদ বা টার্মারিকের ক্যান্সার প্রতিরোধী কাজ
হলুদ বা টার্মারিকের ক্যান্সার প্রতিরোধী কাজ হচ্ছে এতে উপস্থিত
কারকিউমিন উপাদান প্রদাহ কমিয়ে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধে খুবই
কার্যকর।
টমেটোর ক্যান্সার প্রতিরোধী কাজ
টমেটোর ক্যান্সার প্রতিরোধী কাজ হলো এতে থাকা লাইকোপেন নামক উপাদান
প্রোস্টেটসহ একাধিক ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
শাক-সবজি (যেমনঃপালং,কেলে,স্পিনাচ) এর ক্যান্সার প্রতিরোধী কাজ
শাক-সবজি (যেমনঃপালং,কেলে,স্পিনাচ) এর ক্যান্সার প্রতিরোধী কাজ
রয়েছে। শাকসবজি আঁশ সমৃদ্ধ এবং এতে থাকা ফোলেট উপাদান আছে, যা
কোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও সুরক্ষায় সহায়তা করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে
সাহায্য করে।
গ্রীন টি এর ক্যান্সার প্রতিরোধী কাজ
গ্রীন টি এর ক্যান্সার প্রতিরোধী কাজ সম্পর্কে এবার জেনে নিই। গ্রিনটিতে
থাকা ইজিসিজি নামের ক্যাটেচিন রয়েছে,যা ক্যান্সার কোষের বিস্তার রোধ করতে
সাহায্য করে।
বাদাম (যেমনঃ আখরোট,আমন্ড) এর ক্যান্সার প্রতিরোধী কাজ
বাদাম (যেমনঃ আখরোট,আমন্ড) এর ক্যান্সার প্রতিরোধী কাজ হলো, এতে থাকা ওমেগা-৩
এবং ফাইটো-কেমিক্যাল সমৃদ্ধ হওয়ায় এই উপাদানগুলি কোষকে মেরামত করে এবং
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম
হয়।
বেশি মাত্রায় খাবারগুলো খাওয়া ঠিক নয়। আবার,এই খাবারগুলো ক্যান্সার
প্রতিরোধে সাহায্য করলেও কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এগুলোর উপর নির্ভর
করা ঠিক হবে না। এই খাবারগুলো খেলে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা হয় তারা
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর এগুলো খাবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্যঃ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে যেসব খাবার
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে যেসব খাবার সেগুলি সম্পর্কে আমরা ভালোভাবে জেনে
নিলাম। এখন থেকে আমরা আমাদের খাদ্য তালিকায় এই খাবার গুলো সংযুক্ত করবেন এবং
ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ ব্যাধির হাত থেকে রক্ষা পেতে এই ক্যান্সার প্রতিরোধী
খাবার গুলো নিয়মিত খাবেন।
আপনার জীবনের ছোট ছোট পরিবর্তনেই আসুক সুস্থতা নামক বড় নেয়ামত। রোগ মুক্ত জীবন
গড়তে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই উপাদানগুলো যুক্ত করুন। রোজকার খাদ্যাভ্যাসে
নিরাপদ ও রোগ প্রতিরোধক খাদ্যগুলো যুক্ত করার মাধ্যমে ক্যান্সারমুক্ত জীবন পথে
এগিয়ে থাকুন কয়েক ধাপ। কারণ সচেতনতাই হতে পারে সুস্থতার প্রথম পদক্ষেপ।
তাই আসুন আমরা সচেতন হই এবং সুস্থতার সাথে সুন্দর জীবন গড়তে উদ্বুদ্ধ হই।
hiramonsdream er নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url