এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে। কিভাবে একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখলে তা সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে ভালো অবস্থানে আসতে এবং বেশি ট্রাফিক আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে তা আজ আমরা জানবো।
পেজ সূচিপত্রঃ এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- কিওয়ার্ড রিসার্চ করা এবং কিওয়ার্ড রিসার্চের গুরুত্ব
- কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন
- কিওয়ার্ড নির্বাচন করার সময় লক্ষণীয় বিষয়বস্তু গুলো কি কি
- কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস
- অন-পেজ অপটিমাইজেশন
- অন-পেজ অপটিমাইজেশন এর গুরুত্বপূর্ণ দিক
- কনটেন্ট কোয়ালিটি এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স
- কিছু গুরুত্বপূর্ণ অফ-পেজ অপটিমাইজেশন কৌশল
- অফ-পেজ অপটিমাইজেশন পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাট্রিক্স
- অফ-পেজ অপটিমাইজেশন পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টুলস
- লেখকের মন্তব্যঃ এসিও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখা নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানাটা খুবই জরুরী। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার মাধ্যমে আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটের কন্টেন্টগুলো সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে রাংকিং এর শীর্ষে অবস্থান করে এবং এর মাধ্যমে অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ে। এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার অর্থ হচ্ছে এমন ভাবে কন্টেন্ট গুলো তৈরি করা যা পাঠক এবং সার্চ ইঞ্জিন উভয়ের কাছে খুব আকর্ষণীয় এবং সহজবোধ্য হয়।
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হলে যা যা জানা প্রয়োজন সেগুলো নিচে একে একে লেখা হলোঃ
- ১ম স্টেপঃকিওয়ার্ড রিসার্চ করা, প্রতিযোগী কিওয়ার্ড এনালাইসিস করা,কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম এবং প্রতিযোগিতা নিরীক্ষণ করা এবং ব্যবহারকারীর উদ্দেশ্য বোঝা।
- ২য় স্টেপঃ অনপেজ অপটিমাইজেশন করা অর্থাৎ টাইটেল ট্যাগ অপটিমাইজেশন, মেটাডেসক্রিপশন, হেডিং ট্যাগগুলির ব্যবহার, কিওয়ার্ড ডেনসিটি ও প্লেসমেন্ট, ইমেজ অপটিমাইজেশন,ইউআরএল স্ট্রাকচার, ইন্টার্নাল লিঙ্কিং, এক্সটার্নাল লিঙ্কিং প্রসেস করা।
- ৩য় স্টেপঃ কনটেন্ট কোয়ালিটি এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স যাচাই করা। উচ্চ গুণমান সম্পন্ন এবং অনন্য কনটেন্ট বানাতে হবে। আর্টিকেলের রিডঅ্যাবিলিটি বা পঠন যোগ্যতা ভালো হতে হবে। আর্টিকেলের বিষয়বস্তুকে পরিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করতে হবে। ব্যবহারকারীদের প্রশ্ন এবং সমস্যার সমাধান করা। মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করে আর্টিকেলকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস নিশ্চিত করা অর্থাৎ মোবাইল ডিভাইসে সহজেই আর্টিকেল পড়া যায় এমন ভাবে প্রসেস করা। পেজ লোডিং স্পিড ভালো থাকা বা ওয়েবসাইট দ্রুত লোড হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
- ৪র্থ স্টেপঃ অফ-পেজ অপটিমাইজেশন করা অর্থাৎ ব্যাক লিঙ্ক তৈরি, সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্টিকেল শেয়ার করা এবং ব্র্যান্ডিং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করা।
- ৫ম স্টেপঃ মনিটরিং অ্যান্ড অ্যানালাইসিস করা অর্থাৎ ওয়েবসাইটের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে মান উন্নয়ন করা।গুগল সার্চ কনসোল বা অন্যান্য টুলস ব্যবহার করে আপনার কিওয়ার্ডের র্যাঙ্কিং পর্যবেক্ষণ করা, গুগল অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে অর্গানিক ট্রাফিক,বাউন্স রেট এবং পেজে থাকার সময় ইত্যাদি ডাটা বিশ্লেষণ করা এবং পুরনো আর্টিকেলগুলোকে নতুন তথ্য দিয়ে নিয়মিত আপডেট করা।
এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখলে তা সার্চ ইঞ্জিনের
ফলাফলে ভালো অবস্থানে আসতে এবং বেশি ট্রাফিক আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা
যায়।
কিওয়ার্ড রিসার্চ করা এবং কিওয়ার্ড রিসার্চের গুরুত্ব
কিওয়ার্ড রিসার্চ করা আপনার আর্টিকেলের মূল ভিত্তি। এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার প্রথম এবং প্রধান ধাপ হল কিওয়ার্ড রিসার্চ করা। কিওয়ার্ড হলো সেই শব্দ বা শব্দগুচ্ছ যেগুলো মানুষেরা সার্চ ইঞ্জিনে কোন তথ্য খোঁজার জন্য ব্যবহার করে থাকে। তাই আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসঙ্গিক সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করা খুব জরুরী। কারণ এর মাধ্যমে আপনার আর্টিকেল সঠিক দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।
কিওয়ার্ড সাধারণত ৩ প্রকার। নিচে এগুলোর বর্ণনা দেয়া হলোঃ
- মুল কীওয়ার্ড বা প্রাইমারি কীওয়ার্ডঃ আপনারা আর্টিকেলের প্রধান বিষয়বস্তু নির্দেশ করে এমন একটি বা দুটি শব্দকে মূল কিওয়ার্ড বা প্রাইমারি কিওয়ার্ড বলা হয়।
- সহায়ক কিওয়ার্ড বা এলএসআই কিওয়ার্ডঃ মূল কিওয়ার্ডের সাথে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য শব্দ বা শব্দগুচ্ছ যা আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তুকে আরো সমৃদ্ধ করে, এমন কিওয়ার্ডকে সহায়ক কিওয়ার্ড বা এলএসআই কিওয়ার্ড বলে।
- লং-টেইল কিওয়ার্ডঃআপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তু তিন বা তার বেশি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত সুনির্দিষ্ট কিওয়ার্ড হলে একে লং-টেইল কিওয়ার্ড বলে। লং-টেইল কিওয়ার্ড নির্দিষ্ট ব্যবহারকারী উদ্দেশ্য পূরণ করে থাকে।
কিওয়ার্ড রিসার্চের গুরুত্ব অপরিসীম। কিওয়ার্ড রিসার্চ এর গুরুত্ব সম্পর্কে নিচে বর্ণনা করা হলোঃ
- বিষয়বস্তু নির্ধারণঃ কিওয়ার্ড রিসার্চ এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোন বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি এবং তারা কি ধরনের তথ্য খুঁজছে। তখন আপনি সে অনুযায়ী আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করতে পারবেন।
- অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধিঃ সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি সেইসব ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করতে পারবেন যারা আপনার আর্টিকেলে বিষয়বস্তুতে আগ্রহী। এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে।
- প্রতিযোগিতা বিশ্লেষণ করাঃ কিওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রতিযোগীদের সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং তারা কোন কিওয়ার্ড ব্যবহার করছে সে সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন।
- এসইও কৌশল তৈরিঃ কিওয়ার্ড রিসার্চ এর ফলাফল আপনার সামগ্রিক কৌশল নির্ধারণ ভূমিকা পালন করবে।
কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন
কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন তা এখন বলছি । প্রথমে ব্রেন স্টর্মিং করবেন
অর্থাৎ আপনার আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে চিন্তা করুন এবং সে সম্পর্কিত
সম্ভাব্য কিওয়ার্ডের একটি তালিকা বা লিস্ট তৈরি করুন।
লং টেইল কিওয়ার্ড গুলো খুঁজে বের করতে হবে। সাধারণত তিন বা তার বেশি শব্দ
সমন্বয়ে গঠিত নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড ফ্রেজ হল লং টেইল কিওয়ার্ড। এই
কিওয়ার্ড গুলির সার্চ ভলিউম সাধারণত কম থাকে, তবে এদের কনভার্সন রেট বেশি হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে। কারণ যারা এই কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে তারা সাধারণত একটি
নির্দিষ্ট তথ্য বা নির্দিষ্ট পণ্যের জন্য আগ্রহী থাকে। যেমনঃ"সেরা
স্মার্টফোন কোনটি" এর পরিবর্তে "২০২৫ সালের সেরা ক্যামেরা সহ পাঁচটি স্মার্টফোন
কোনটি" এটি একটি লংটেইল কিওয়ার্ড।
কিওয়ার্ড নির্বাচন করার সময় লক্ষণীয় বিষয়বস্তু গুলো কি কি
কিওয়ার্ড নির্বাচন করার সময় লক্ষণীয় বিষয়বস্তু গুলো কি কি তা কি আপনি জানেন? না জানলে সমস্যা নেই। এখানে আমরা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো,যেনো আপনি উপকৃত হোন। কিওয়ার্ড নির্বাচন করার সময় লক্ষণীয় বিষয়বস্তু গুলো হলোঃ
- প্রাসঙ্গিকতাঃনির্বাচিত কিওয়ার্ডটি অবশ্যই আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তুর সাথে রিলেভেন্ট বা প্রাসঙ্গিক হতে হবে।
- সার্চ ভলিউমঃ এমন কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে যা মানুষ নিয়মিতভাবে সার্চ করে অর্থাৎ এমন কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন যার যথেষ্ট সার্চ ভলিউম আছে।
- প্রতিযোগিতাঃ যে কীওয়ার্ডের কম্পিটিশন বেশি এমন কিওয়ার্ড নিয়ে রং করা খুব কঠিন হয়ে যায়। তাই আপনি মিডিয়াম কম্পিটিশনের বা মাঝারি প্রতিযোগিতার কিওয়ার্ড নির্বাচন করার চেষ্টা করুন।
- ব্যবহারকারীর উদ্দেশ্যঃ ব্যবহারকারীর উদ্দেশ্য বা ইউজার ইনটেন্ট বুঝে কিওয়ার্ড সিলেক্ট করুন।ব্যবহারকারী কেন একটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করছে তা বোঝার চেষ্টা করুন। যদি তাদের উদ্দেশ্য আপনার আর্টিকেলের সাথে মিলে যায় তবে সে কিওয়ার্ডটি আপনার জন্য মহামূল্যবান হবে।
কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস
- গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানারঃগুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার নামের ফ্রি টুল টি আপনাকে কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম, প্রতিযোগিতাএবং এই সম্পর্কিত কিওয়ার্ড সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে।
- এস ই এম রাশঃএস ই এম রাশ এটি একটি পেইড টুল যা আপনাকে বিস্তারিত কিওয়ার্ড এনালাইসিস, কম্পিটিটর এনালাইসিস এবং অন্যান্য এস ই ও সম্পর্কিত তথ্যাবলি প্রদান করে।
- এ এইচ রেফসঃএ এইচ রেফস চলছে একটি জনপ্রিয় পেইড টুল যা কিওয়ার্ড রিসার্চ,ব্যাক লিংক এনালাইসিস এবং সাইড অডিট সহ বিভিন্ন এস ই ও কাজে ব্যবহৃত হয়।
- মোয কিওয়ার্ড এক্সপ্লোরারঃ এটি মোয এর একটি পেইড টুল যা কিওয়ার্ডের ডিফিকাল্টি,অর্গানিক সিটিআর এবং প্রায়োরিটি স্কোর সহ বিভিন্ন ম্যাট্রিক্স প্রদান করে।
- উবার সাজেস্টঃ উবার সাজেস্ট একটি ফ্রি এবং পেইড উভয় সংস্করণের টুল। যা আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ আইডিয়া, কন্টেন্ট আইডিয়া এবং কম্পিটিটর এনালাইসিস করতে সাহায্য করে।
অন-পেজ অপটিমাইজেশন
অন-পেজ অপটিমাইজেশন সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। আপনার কনটেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য প্রস্তুত করুন। সম্পন্ন হওয়ার পর আপনার আর্টিকেলটিকে অন পেজ অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। অন-পেজ অপটিমাইজেশন হলো আপনার ওয়েবসাইটের ভেতরে বিভিন্ন পরিবর্তন আনা, যার ফলে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে উচ্চ স্থান বা রাঙ্ক লাভ করা যায়।
অন-পেজ অপটিমাইজেশন এর গুরুত্বপূর্ণ দিক
অন-পেজ অপটিমাইজেশন এর গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে এবার জেনে নিন। অন-পেজ অপটিমাইজেশন করার ফলে আপনার কনটেন্টের মান ভালো হয়, পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় হয় এবং রেংকিং করতে সুবিধা হয়।
অন-পেজ অপটিমাইজেশন এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিচে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হলোঃ
- ইমেজ যুক্ত করাঃআপনার আর্টিকেলে ব্যবহৃত প্রতিটি ইমেজের একটি বর্ণনামূলক ফাইল নাম দিন এবং অল্টার টেক্সট যোগ করুন। অল্টার টেক্সট হলো ইমেজের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ যা সার্চ ইঞ্জিন কে বুঝতে সাহায্য করে এবং যদি কোন কারনে ইমেজটি লোড না হয় তবে ব্যবহারকারীদের কাছে টেক্সটটি প্রদর্শিত করে। অল্টার টেক্সটে আপনার আর্টিকেলের প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।
- এক্সটার্নাল এবং ইন্টারনাল লিঙ্কিংঃ আপনার আর্টিকেলের সাথে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য উচ্চ অথরিটি সম্পন্ন ওয়েবসাইটের লিংক যোগ করা অর্থাৎ ইন্টার্নাল লিংকিং আপনার আর্টিকেলের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। তেমনিভাবে আপনার ওয়েবসাইটের অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আর্টিকেলের লিংক আপনার আর্টিকেলে যোগ করা বা ইন্টারনাল লিঙ্কিং ব্যবহারকারীদের আপনার ওয়েবসাইটের আরও বেশি সময় ধরে রাখতে এবং আপনার ওয়েবসাইটের সামগ্রিক স্কোর উন্নত করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে এক্সটার্নাল লিংকিং একই ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- ইউ আর এল স্ট্রাকচারঃ আপনার আর্টিকেলের ইউ আর এল টি ছোট বর্ণনামূলক এবং প্রধান কীওয়ার্ড যুক্ত হওয়া উচিত যেমনঃ www.0ptimize.com/seo-frendly-artikel-rules একটি এসইও ফ্রেন্ডলি ইউআরএল।
- মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেসঃআপনার ওয়েবসাইট এবং আর্টিকেল অবশ্যই মোবাইল ফ্রেন্ডলি হতে হবে সহজে মানিয়ে নিতে পারে। কারণ বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাই মোবাইলের স্ক্রিনে যেন আর্টিকেল গুলো ভালোভাবে প্রদর্শিত হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গুগল মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইটগুলিকে অগ্রাধিকার বেশি দেয়।
- পেজ লোডিং স্পিডঃ আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড উন্নত করার জন্য ইমেজ অপটিমাইজেশন এবং অন্যান্য টেকনিক ব্যবহার করতে হবে কারণ একটি দ্রুত লোডিং ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা প্রদান করে এবং এটি এসি ওর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে।
কনটেন্ট কোয়ালিটি এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স
কনটেন্ট কোয়ালিটি এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এসইও এর জন্য কিওয়ার্ড এবং অন-পেজ অপটিমাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ তবে মনে রাখতে হবে আপনার আর্টিকেলের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ব্যবহারকারীদের জন্য মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করা। যদি আপনার কনটেন্ট মানসম্মত হয় এবং ব্যবহারকারীদের চাহিদা পূরণ করতে পারে তাহলেই শুধুমাত্র দীর্ঘস্থায়ী সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হবে।
উচ্চ গুণমান সম্পন্ন কনটেন্ট তৈরির জন্য কিছু টিপসঃ
- গভীরতা এবং সম্পূর্ণতাঃ আপনার আর্টিকেলটি সহজে এবং বোধগম্য ভাষায় লিখুন জটিল বাক্য এবং কঠিন শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। ছোট অনুচ্ছেদ এবং বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করে আপনার কনটেন্ট কে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলুন।
- মূল্যবান তথ্যঃ আপনার আর্টিকেলে মূল্যবান এবং কার্যকর তথ্য প্রদান করুন,যা ব্যবহারকারীদের জন্য উপকারী হয়। এই তথ্যগুলো হতে পারে কোন সমস্যার সমাধান অথবা নতুন কিছু শিক্ষনীয় অথবা কোন প্রশ্নের উত্তর।
- আপডেট এবং প্রাসঙ্গিকতাঃ আপনার কনটেন্ট নিয়মিত আপডেট করুন এবং নিশ্চিত করুন যে এটি বর্তমান সময়ের সাথে প্রাসঙ্গিক। পুরনো এবং ভুল তথ্য আপনার ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করে দিতে পারে। তাই সব সময় আপডেট থাকুন।
- মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারঃ আপনার আর্টিকেলে প্রাসঙ্গিক ইমেজ, ভিডিও,ইনফোগ্রাফিক্স ইত্যাদি ব্যবহার করে এটিকে আরো আকর্ষণীয় এবং তথ্যপূর্ণ করে তুলুন।
ইউজার এক্সপেরিয়েন্স উন্নত করার কিছু টিপস সম্পর্কে বর্ণনা করা হলোঃ
- সহজ নেভিগেশনঃ আপনার ওয়েবসাইটের নেভিগেশন সহজ এবং বোধগম্য হওয়া উচিত যাতে ব্যবহারকারীরা সহজেই আপনার অন্যান্য কনটেন্টগুলো খুঁজে পায়।
- আকর্ষণীয় ডিজাইনঃ আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন খুব আকর্ষণীয় এবং পেশাদার হতে হবে। এটি ব্যবহারকারীদের আপনার ওয়েবসাইটে বেশিক্ষণ থাকতে উৎসাহিত করবে।
- দ্রুত লোডিং স্পিডঃ ভালো ওয়েবসাইটের গুণাবলী হলো খুব দ্রুত লোডিং স্পিড থাকা যা ব্যবহারকারীদের জন্য ভালো অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
- ব্যবহারকারীর সাথে মিথস্ক্রিয়াঃ ব্যবহারকারীর সাথে মিথস্ক্রিয়া হলো ব্যবহারকারীদের মন্তব্য করার সুযোগ দেয়া এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়া। যদি ব্যবহারকারীরা মন্তব্য করার সুযোগ পায় বা তাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয় তাহলে এটি আপনার ওয়েবসাইটের সাথে তাদের এনগেজমেন্ট বাড়াতে সাহায্য করবে।
- অফ-পেজ অপটিমাইজেশনঃ অফ-পেজ অপটিমাইজেশন হলো আপনার ওয়েবসাইটের বাইরে বিভিন্ন কার্যকলাপের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের খ্যাতি এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করা।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ অফ-পেজ অপটিমাইজেশন কৌশল
কিছু গুরুত্বপূর্ণ অফ-পেজ অপটিমাইজেশন কৌশল সম্পর্কে নিচে লেখা হলোঃ
- ব্যাকলিংক তৈরিঃ অন্যান্য উচ্চ গুণমান সম্পন্ন ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক পাওয়া অর্থাৎ ব্যাক লিংক নেয়া এসইও এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে ধারণা দেয়।
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপনার কন্টেন্ট শেয়ার করা আপনার ওয়েবসাইটের দৃশ্যমান্যতা বাড়াতে এবং ট্রাফিক আকর্ষণ করতে সহায়তা করে।
- ব্র্যান্ডিংঃ আপনার ব্র্যান্ড তৈরি করা এবং এর প্রচার করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের খ্যাতি বৃদ্ধি করে।
- গেস্ট ব্লগিংঃ অন্যান্য ওয়েবসাইটে গেস্ট পোস্ট লেখার মাধ্যমে আপনি নতুন দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে এবং ব্যাক লিঙ্ক অর্জন করতে পারেন।
- আপনার ফলাফলের পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণঃ উন্নতির জন্য ডাটা ব্যবহার করুন। এসো একটি চলমান প্রক্রিয়া। আপনার আর্টিকেল পাবলিশ করার পরে এর পারফরমেন্স নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তনের জরুরী।
অফ-পেজ অপটিমাইজেশন পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাট্রিক্স
অফ-পেজ অপটিমাইজেশন পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাট্রিক্স সম্পর্কে জানানো হলোঃ
- অর্গানিক ট্রাফিকঃ আপনার ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিন থেকে কতজন দর্শক আসছে তা ট্র্যাক করুন।
- কীওয়ার্ড রেংকিংঃ আপনার নির্বাচিত কীওয়ার্ডগুলির জন্য আপনার আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে কোন অবস্থানে রয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করুন।
- ক্লিক থ্রু রেটঃ সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে আপনার আর্টিকেল কতজন ক্লিক করছে তা ট্র্যাক করুন।
- বাউন্স রেটঃ কত জন দর্শক আপনার আর্টিকেলে প্রবেশের পরেই অন্য পেজে চলে যাচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করুন। একটি উচ্চ বাউন্স রেট নির্দেশ করে যে আপনার কন্টেন্ট ব্যবহারকারীদের জন্য প্রাসঙ্গিক নয়।
- পেজে থাকার এভারেজ টাইমঃ পেজে থাকার এভারেজ টাইম নির্ণয় করতে ব্যবহারকারীরা আপনার আর্টিকেলে গড়ে কতক্ষণ সময় ব্যয় করছে তা ট্র্যাক করুন। বেশি সময় ব্যয় করা মানে আপনার কন্টেন্ট আকর্ষণীয় হয়েছে বলে ধরা হবে।
অফ-পেজ অপটিমাইজেশন পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টুলস
অফ-পেজ অপটিমাইজেশন পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টুলস সম্পর্কে নিচে বর্ণনা করা হলোঃ
- গুগল এনালিটিক্সঃ এটি একটি ফ্রি ওয়েব এনালিটক্স টুল যা আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক এবং ব্যবহারকারীর আচরণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে।
- গুগল সার্চ কনসোলঃ এটি গুগলের একটি ফ্রি টুল যা আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে সার্চ পারফরম্যান্স ইন্ডেক্সিং এবং অন্যান্য এসইও সম্পর্কিত সমস্যা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে থাকে।
এই ডাটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোন এসইও কৌশল গুলি কাজ করছে এবং
কোথায় উন্নতির সুযোগ রয়েছে।
লেখকের মন্তব্যঃ এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখা নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানলেন এই আর্টিকেলে। একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখা একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া যাতে রয়েছে কেউ আট রিসার্চ অন-পেজ অপটিমাইজেশন উচ্চ গুণমান সম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার ওপর মনোযোগ দেয়া সহ বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মনে রাখবেন, এসইও কোন দ্রুত ফল প্রদানকারী প্রক্রিয়া নয়।
ধৈর্য,অধ্যবসায় এবং নিয়মিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই কেবল আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। তা ছাড়া শর্টকাট কোন পথে দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয়। এই নির্দেশিকা অনুসরণ করে আপনি অবশ্যই এমন আর্টিকেল তৈরি করতে সক্ষম হবেন যা একই সাথে পাঠক এবং সার্চ ইঞ্জিন উভয়ের কাছেই মূল্যবান হবে এবং এটি আপনার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
hiramonsdream er নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url