হ্যাজার্ড কত প্রকার-কর্মক্ষেত্রে হ্যাজার্ড সমূহের প্রকারভেদ
হ্যাজার্ড কত প্রকার-কর্মক্ষেত্রে হ্যাজার্ড সমূহের প্রকারভেদ নিয়ে আজকের আর্টিকেল। কোন কাজের পরিবেশে বিদ্যমান এমন উপাদান, অবস্থা, পরিস্থিতি বা আচরণ, যা মানুষের জীবন, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং সম্পত্তির ক্ষতির কারণ হতে পারে তাকে হ্যাজার্ড বলে।
সহজ ভাবে বলা যায় যে, হ্যাজার্ড হলো সম্ভাব্য বিপদ যা দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার ঝুঁকি তৈরি করে থাকে।কর্মক্ষেত্রে হ্যাজার্ড সমূহের প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনে সাবধানতা অবলম্বন করার মাধ্যমে সুন্দর জীবন গঠনের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
পেজ সূচিপত্রঃ হ্যাজার্ড কত প্রকার-কর্মক্ষেত্রে হ্যাজার্ড সমূহের প্রকারভেদ
হ্যাজার্ড কত প্রকার
কর্মক্ষেত্রে হ্যাজার্ড সমূহের প্রকারভেদহ্যাজার্ড কত প্রকার
হ্যাজার্ড কত প্রকার এর সম্পর্কে বেশ কিছু ভিন্ন মত রয়েছে। হ্যাজার্ড সাধারণত কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে। তবে প্রধান হ্যাজার্ড হলো- ফিজিক্যাল হ্যাজার্ড, কেমিক্যাল হ্যাজার্ড, বায়োলজিক্যাল হ্যাজার্ড, আর্গোনমিক হ্যাজার্ড এবং আরও দু'টি রয়েছে সাইকো সোশ্যাল হ্যাজার্ড এবং সেফটি হ্যাজার্ড। নিচে এগুলোর অর্থসহ দেয়া হলো-
- ফিজিক্যাল হ্যাজার্ড (physical Hazards) বা শারীরিক ঝুঁকি বা ভৌত ঝুঁকি
- কেমিক্যাল হ্যাজার্ড (Chemical Hazards) বা রাসায়নিক ঝুঁকি
- বায়োলজিক্যাল হ্যাজার্ড (Biological Hazards) বা জীববৈজ্ঞানিক ঝুঁকি বা জৈবিক ঝুঁকি
- আর্গোনমিক হ্যাজার্ড (psychosocial Hazards) বা দেহভঙ্গিগত ঝুঁকি বা কর্মদক্ষ ঝুঁকি
- সাইকো সোশ্যাল হ্যাজার্ড (psychosocial Hazards) বা মানসিক ও সামাজিক ঝুঁকি/ মনোসামাজিক ঝুঁকি
- সেফটি হ্যাজার্ড (Safety Hazards) বা নিরাপত্তা ঝুঁকি
হ্যাজার্ড কেন গুরুত্বপূর্ণ
হ্যাজার্ড সনাক্ত করা এবং এর থেকে উদ্ভূত ঝুঁকি বা রিস্ক নিয়ন্ত্রণ করাই কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
কর্মক্ষেত্রে হ্যাজার্ড সমূহের প্রকারভেদ
কর্মক্ষেত্র হাজার সময় প্রকারভেদ কি কি জানুন। কর্মক্ষেত্রে হ্যাজার্ড বলতে বোঝায় এমন কোন উপাদান, পরিস্থিতি বা অবস্থা যার কারণে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য, জীবন, সম্পত্তি বা পরিবেশের ক্ষতি হতে পারে। এটি একটি সম্ভাব্য ক্ষতিকারক উৎস যেমন- কোন ক্ষয়কারক রাসায়নিক পদার্থ, ভারসাম্যহীন মেশিন, উচ্চ শব্দ, ব্যাকটেরিয়া বা মানসিক চাপের মতো বিষয় যা কর্ম ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা বা অসুস্থতা ঘটাতে পারে।
কর্ম ক্ষেত্রে সাধারণত ছয় ধরনের হয়ে থাকে
নিরাপত্তা হাজার বার সেফটি হ্যাজার্ড ঃ পড়ে যাওয়া অফিসে যাওয়ার জন্য অসমতল মেজে বৈদ্যুতিক সমস্যা বা চলন্ত যন্ত্রাংশের কারণে সৃষ্ট বিপদ হলো নিরাপত্তা হাজার।
জৈবিক হ্যাজার্ডঃ ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ও কোন উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংস্পর্শে আসা যা রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
ভৌত হ্যাজার্ডঃ উচ্চ শব্দ অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা লাগা কমালো কারনে সমস্যা হওয়া।
রাসায়নিক হ্যাজার্ডঃ বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ধোঁয়াবাদগুলার সংস্পর্শে এসে শরীরের ক্ষতি হয়।
কর্মদক্ষ হ্যাজার্ডঃ ভুলভাবে বসা একই ধরনের কাজ বারবার করা বা অস্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ যা শারীরিক মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।
মনোসামাজিক হ্যাজার্ডঃ কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বোলিং এর শিকার বা কাজের পরিবেশগত সমস্যা যা মানসিক চাপ তৈরি করে।
হ্যাজার্ড এবং এর থেকে যে সমস্যাগুলো হয় তার নিয়ন্ত্রণ করা এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য এগুলো সম্পর্কে জানা এবং সাবধানতা অবলম্বন করার জরুরি।
hiramonsdream er নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url