মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত আজকের এই আর্টিকেলে। বর্তমান বিশ্বে  মাশরুমের উপকারিতা গুণ বিবেচনা করে এটির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। মাশরুম গ্রহণের ফলে ক্যান্সার,টিউমার সহ মারাত্মক কিছু রোগ ব্যাধি থেকে কিভাবে নিরাপদে থাকবেন এ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে আর্টিকেলে।

মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

মাশরুম খাওয়ার পদ্ধতি,মাশরুমের পুষ্টিগুণ,মাশরুম কেন চাষ করবেন,কোন কোন ক্ষেত্রে মাশরুম খেতে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত তাও এখানে বর্ণনা করা হয়েছে। তাহলে আসুন জেনে নিই মাশরুমের আদ্যপান্ত সম্পর্কে।  

পেজ সূচিপত্রঃমাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন  

  1. মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা 
  2. মাশরুম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
  3. মাশরুম ক্যান্সার এবং এইডস প্রতিরোধক
  4. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
  5. ক্ষুধা কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
  6. মাশরুম মারাত্মক ক্ষতিকর কিছু রোগ থেকে মুক্তি দেয়
  7. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  8. শরীরে গঠন ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
  9. মাশরুমের পুষ্টিগুণ
  10. মাশরুম খাওয়ার পদ্ধতি
  11.  মাশরুম কেন চাষ করবেন
  12. মাশরুমের আরো বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা
  13.  মাশরুম খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা  
  14. লেখকের শেষ মন্তব্যঃমাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন  


মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা 

মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিয়ে তারপর এর ব্যবহার করা উচিত। 


মাশরুমের উপকারিতা

মাশরুমের উপকারিতা হলো এটি খেলে জন্ডিস দূর হয়,ডায়াবেটিস ভালো হয়,পাচনতন্ত্রের সমস্যা দূর হয়,হৃদরোগ ভালো হয়, দুর্বল ইমিউনিটি সবল হয়, উচ্চ রক্তচাপ ভালো হয়,স্ট্রোক নিরাময় হয়, স্নায়ুতন্ত্রের রোগ ভালো হয়,হেপাটাইটিস সি ভালো হয়, মরণব্যাধি ক্যান্সার প্রতিরোধক,স্নায়ুবিক সমস্যা দূর হয়,স্টমাক সমস্যা ভালো হয়,কিডনি রোগ ভালো হয়, এলার্জি দূর করে, অ্যানিমিয়া দূর করে, হেপাটাইটিস-বি ভালো হয়,সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।  

  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
  • যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
  • হৃদরোগ প্রতিরোধক
  • রক্তস্বল্পতা দূর করে
  • চুল পড়া এবং অকালে চুল পাকা রোধ করে
  •  চর্মরোগে উপকারী
  •  ক্যান্সার এবং এইডস প্রতিরোধকঃ ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাধা দেয়
  • গর্ভবতী মা এবং বাচ্চার আদর্শ খাবার
  •  ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধী
  • জন্ডিস রোগের  প্রতিরোধক
  • কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম দূর করে
  • অ্যাজমা ও এলার্জি রোগ সারে
  •  টিউমার নিরাময়ে সহায়ক
  •  হাড়ের গঠন শক্তিশালী করে
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
  • ক্ষুধা কমা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
  • শরীরে গঠন ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
  • স্নায়ুতন্ত্র ও স্পাইনাল কর্ড কে সুস্থ রাখে
  • ত্বককে নরম ও কোমল রাখতে সহায়তা করে
  • চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করে
  • অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করে, ক্যান্সার ও টিউমারকে প্রতিরোধ করে 
  • শিশুর দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে



মাশরুমে রয়েছে খনিজ উপাদান সেলিনিয়াম যা লিভার এনজাইম ফাংশনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে।

বিটা-গ্লুক্যান্স এক ধরনের ফাইবার যা অনেক ধরনের মাশরুমের সেল দেয়ালের মধ্যে পাওয়া যায় বিটা-গ্লুক্যান্সগুলি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করতে পারে, স্থূলতার ঝুঁকি হ্রাস এবং একটি প্রতিবন্ধকতা বৃদ্ধির বিকাশ প্রদান করে। মাশরুম ভিটামিন বি সমৃদ্ধ,যেমন-রাইবোফ্লাভিন(ভিটামিন বি২),ফোলেট(ভিটামিনবি৯),থিয়ামিন(ভিটামিন বি১)ইত্যাদি। মাশরুমে থাকা এই ভিটামিন গুলি খুব উপকারী,যা শরীর থেকে খাদ্য পাওয়ার জন্য সাহায্য করে এবং লোহিত রক্তকোষ গঠন করতে সহায়তা করে।

মাশরুমের মধ্যে রয়েছে কোলিন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা ভাল ঘুমের সহায়ক হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া পেশির গঠন,স্মৃতিশক্তি উন্নয়নে এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।

মাশরুমে থাকা ফাইবার,পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি দেহের কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের অবদান রাখে। মাশরুমে থাকা পটাশিয়াম এবং সোডিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

মাশরুমে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার অতি প্রয়োজনীয় উপাদান যেমনঃ প্রোটিন,ভিটামিন এবং মিনারেলে পরিপূর্ণ। পুষ্টির দিক বিচার করলে মাশরুম সবার সেরা। এছাড়া যেসব খাদ্য উপাদানের আধিক্য যেমনঃ ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট আমাদের জটিল রোগের দিকে নিয়ে যায়,তা মাশরুমে নেই বললেই চলে।

 মাশরুম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে

মাশরুম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। মাশরুম গ্রহণ করলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেলে ভর্তি মাশরুম ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। মাশরুমে এনজাইম এবং প্রাকৃতিক ইনসুলিন থাকে যা চিনিকে ভাঙতে পারে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে,হৃদরোগ প্রতিরোধক,রক্তস্বল্পতা দূর করে,চুল পড়া এবং অকালে চুল পাকা রোধ করে। 

মাশরুম ক্যান্সার এবং এইডস প্রতিরোধক

মাশরুম ক্যান্সার এবং এইডস প্রতিরোধক। মাশরুমের ফাইটোকেমিক্যাল  ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাধা দেয়।  বিভিন্ন রকম ক্যান্সার যেমনঃব্রেস্ট ক্যান্সার এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে মাশরুমের তুলনা নেই। গর্ভবতী মা এবং বাচ্চার জন্য এটি আদর্শ খাবার,ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধী,জন্ডিস রোগের  প্রতিরোধক,কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজম দূর করে,অ্যাজমা ও এলার্জি রোগ সারে,টিউমার নিরাময়ে সহায়ক,হাড়ের গঠন শক্তিশালী করে। 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

মাশরুম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। মাশরুমে সোডিয়াম এর পরিমাণ খুবই কম থাকে। এতে উচ্চমাত্রার আঁশ এবং প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে,যা রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।  এটি হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং হৃদপিণ্ড ভালো রাখে,ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।  

ক্ষুধা কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে

মাশরুম ক্ষুধা কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। মাশরুম ওজন কমিয়ে পেশী বহুল শরীর তৈরিতে সাহায্য করে। মাশরুমে থাকা ফাইবার বা আঁশ দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে অর্থাৎ এটি খেলে ক্ষুধা কমে যায়। এটি রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। অধিক ফ্যাট সমৃদ্ধ লাল মাংসের পরিবর্তে মাশরুম গ্রহণ করলে শরীরের ওজন কমানো সহজ হয়।

মাশরুম মারাত্মক ক্ষতিকর কিছু রোগ থেকে মুক্তি দেয় 

মাশরুম মারাত্মক ক্ষতিকর কিছু রোগ থেকে মুক্তি দেয়। মাশরুমে মানুষের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমনঃ পলিফেনল ও সেলেনিয়াম নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। এই অত্যাবশ্যকীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো মারাত্মক কিছু রোগ যেমনঃস্ট্রোক,স্নায়ুতন্ত্রের রোগ এবং ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করে।  শরীরে গঠন ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে,স্নায়ুতন্ত্র ও স্পাইনাল কর্ড কে সুস্থ রাখে,ত্বককে নরম ও কোমল রাখতে সহায়তা করে,চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করে,অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করে, ক্যান্সার ও টিউমারকে প্রতিরোধ করে,শিশুর দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে।  মাশরুম খেলে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

প্রাকৃতিকভাবে মাশরুমে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন,মিনারেল এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকায় এটি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

মাশরুমে কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান ইরিটারিনিন,লোভাস্টাটিন, এন্টারিনিন,কিডিন এবং ভিটামিন বি,ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি থাকায় নিয়মিত মাশরুম খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়।       

এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রক্তে আয়রনের পরিমাণ খুব কম থাকলে শরীরের রক্তশূন্যতা দেখা যায় এবং এর ফলে মানসিক অবসাদ মাথাব্যথা এবং হজমের সমস্যা দেখা দেয়। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য এটি আশীর্বাদ স্বরূপ। তাই নিয়মিত এটি গ্রহণের ফলে অ্যানিমিয়া বা রক্তসল্পতা দূর হয়।  

শরীরে গঠন ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে

মাশরুমের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে যা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায় আমাদের হাড়ের শক্তি বাড়াতে এটি সাহায্য করে। তাই গাঁটের ব্যথা দূর করতে এবং হাড়ের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে এটি ভালো উপকার করে। 

মাশরুমের পুষ্টিগুণ 

মাশরুমে মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয় নয়টি অ্যামাইনো এসিডের মধ্যে প্রত্যেকটি বিদ্যমান। প্রোটিনে ভরপুর মাশরুমে কোন প্রকার ক্ষতিকর চর্বি না থাকায় নিয়মিত মাশরুম খেলে মেদভুঁড়ি,উচ্চ রক্তচাপ,হৃদরোগ ইত্যাদি জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। একটি গবেষণার দেখা গেছে যে প্রতি ১০০ গ্রাম মাশরুমে প্রোটিন ২৫-৩৫ গ্রাম,ভিটামিন ৫৭-৬০ গ্রাম এবং মিনারেল ৫-৬গ্রাম, শর্করা ও উপকারী চর্বি ৪-৬ গ্রাম পাওয়া যায়।

এতে আঁশের পরিমাণ খুবই সন্তোষজনক এবং এর পরিমাণ ১০-২৮% প্রায়। এ পরিমাণটি অন্যান্য খাবারের তুলনায় অনেক বেশি। শুকনো মাসরুমে ৫৭-৬০ শতাংশ ভিটামিন ও মিনারেল থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস এবং সোডিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকায় মাশরুম দেহকে সুরক্ষিত রাখতে ও বিশেষ ভূমিকা রাখে। 

মাশরুম খাওয়ার পদ্ধতি

মাশরুম যে কেবল খেতেই সুস্বাদু তা নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যেও অনেক উপকারী। তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাশরুম রাখা উচিত। তবে আবর্জনায় উৎপন্ন মাশরুম না খেয়ে শুধু চাষ করা  মাশরুম খেতে হবে। 

এটি ভেজে,স্যুপ করে বা রান্না করে কিংবা সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়। কাঁচা বা শুকনা মাশরুম ১৫- ২০ মিনিট ফুটানো গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে ঐ পানি ফেলে দিতে হয়। মাশরুম  ফ্রাই করে বা সবজির মতো রান্না করেও খাওয়া যায়। এছাড়া তরকারি বা মাছ মাংসের মধ্যে দিয়ে রান্না করেও খাওয়া যায়। 

 মাশরুম কেন চাষ করবেন

মাশরুম কেন চাষ করবেন তা জানতে চান? কারণ এটি চাষ করার জন্য কোন আবাদি জমির প্রয়োজন পড়ে না এবং এটি ঘরে উৎপন্ন করা ফসল। আবাদি জমিহীন কৃষককেরাও তাদের বসতবাড়িতে অব্যবহৃত জায়গায় বা ঘরের সামনে বারান্দা ব্যবহার করে অধিক পরিমাণে  মাশরুম উৎপাদন করতে পারেন।  

মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর,সুস্বাদু এবং ঔষধি গুণ সম্পন্ন খাবার। এতে আছে প্রোটিন,ভিটামিন,মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড,অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। স্বাদ,পুষ্টি ও ঔষধিগুণের কারণে ইতোমধ্যেই এটি দেশের সর্বত্র জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাশরুম চাষ হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণ যুবকরা মাশরুম চাষ করছেন।


কিছু কিছু ক্ষেত্রে গৃহিণীরাও মাশরুম চাষ করছেন। বর্তমানে আমাদের দেশে ঘরোয়াভাবে এবং বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করা হচ্ছে।আমাদের দেশের বেকার সমস্যা সমাধান এবং বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে মাশরুম বিশেষ অবদান রাখছে।

মাশরুমের আরো বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃপ্রাকৃতিকভাবে মাশরুমে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন,মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকাই এটি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। মাশরুমে মানুষের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় এন্টিঅক্সিডেন্ট,পলিফেনাল ও সেলেনিয়াম নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মারাত্মক কিছু রোগ যেমন স্ট্রোক এবং ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
  • কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃমাশরুমের কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান  এবং ভিটামিন ডি সি ও ডি থাকায় নিয়মিত মাশরুম খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়। 
  • হজমের সাহায্য ও ওজন নিয়ন্ত্রণঃমাশরুমে থাকা প্রচুর ফাইবার বা আঁশ দীর্ঘক্ষন পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে এছাড়া এটি রক্তের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করতে ভূমিকা রাখে। ফলে দেহের ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃপ্রোটিন ফাইবার ভিটামিন এবং মিনারেল এ পরিপূর্ণ মাশরুম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকার বই আনতে পারে।
  • রক্তের পরিমাণ ও হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করেঃমাশরুমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য উপকারি। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে যা ক্যালসিয়াম ফসফরাসের শোষণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে তাই আমাদের হাড়ের শক্তি বাড়াতে এটি সাহায্য করে। 
  • মাশরুম ত্বক সুস্থ রাখেঃমাশরুম ত্বক সুস্থ রাখে। মাশরুমে ভিটামিনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে নিয়াসিন ও রিবোফ্লাভিন থাকায় এটি ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।

 মাশরুম খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা

মাশরুম খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বৈজ্ঞানিকভাবে চাষকৃত মাশরুম গ্রহণ করা উচিত। যত্রতত্র জন্মানো মাশরুম বিষাক্ত হয়। তাই এ বিষাক্ত মাশরুম গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এ সকল মাশরুম খেলে প্রাণহানি ঘটতে পারে। 

লেখকের শেষ মন্তব্যঃমাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন এবং আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিন এটি আপনার জন্য উপকারি নাকি অপকারি।    

  



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

hiramonsdream er নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url